এ যেন কংস-মামি! ৪ বছরের ভাগ্নেকে গলা টিপে খুন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 23 June 2024

এ যেন কংস-মামি! ৪ বছরের ভাগ্নেকে গলা টিপে খুন

 


এ যেন কংস-মামি! ৪ বছরের ভাগ্নেকে গলা টিপে খুন 



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৩ জুন: নিজের চার বছরের ভাগ্নেকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ উঠল মামির বিরুদ্ধে। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কাটিহারে। এরপর নিজের কুকর্ম আড়াল করতে জলভর্তি বাথটাবে শিশুর দেহ ফেলে দেয়, যাতে সকলে মনে করেন জলে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু অপরাধী যতই চালাক হোক না কেন, অবশ্যই আইনের হাতে ধরা পড়বে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ৪ বছরের শিশু খুনের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত মামিকে গ্রেফতার করেছে। এখন তাকে আদালতে হাজির করে সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।


ঘটনাটি ঘটেছে কোলাসি থানা এলাকার নক্কিপুরে। ৪ বছর বয়সী প্রিন্স তার মায়ের সাথে তার মামার বাড়িতে থাকতে এসেছিল। কিন্তু সে ঘুণাক্ষরেও জানত না, এখানে তার সাথে কী ঘটতে যাচ্ছে! ১৩ জুন, যুবরাজের মামি পূজা দেবী তাকে গলা টিপে খুন করে। পূজা যখন ঘটনাটি ঘটায় তখন বাকিরা অন্য কাজে ব্যস্ত ছিল, তাই এ ব্যাপারে কেউ কিচ্ছু টের পায়নি। 


নিজের যাতে পর্দা ফাঁস না হয়, তাই পূজা বাথরুমে গিয়ে প্রিন্সের দেহ বাথটাবে রেখে দেয়। উপর থেকে কল খোলা রাখা ছিল‌। প্রিন্সের মা বাথরুমে গেলে ছেলেকে জলে ডুবে যাওয়া অবস্থায় দেখতে পান এবং চিৎকার করে ওঠেন। শিশুটিকে বাথটাব থেকে বের করে আনা হয়। পরিবারের সদস্যরা পরীক্ষা করে দেখেন শিশুটির শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে। সবাই ভাবেন, বোধহয় জলে ডুবে মারা গেছে প্রিন্স। তার দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়। 


শিশুটির বাবা সুবোধ ঠাকুর জম্মুতে চাকরি করেন। একদিন আগে তিনি নিজ বাড়িতে ফিরেছিলেন। শিশুটির বাবা সুবোধ ঠাকুর এ খবর পেয়ে সরাসরি প্রাণপুর থানা এলাকার মহাদেবনগরে স্থিত নিজের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে যান। তিনি সন্দেহ করেন, প্রিন্সের মৃত্যু সাধারণ নয়। তিনি জিজ্ঞেস করেন, প্রিন্সকে বাথরুমে কে নিয়ে গেছে? এ বিষয়ে পূজা জানান, তিনি তাকে স্নান করাতে বাথরুমে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি কোনও কাজে বাইরে আসেন এবং এরই মধ্যেই জলে ডুবে মারা যায় প্রিন্স। শিশুটির বাবা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছেন।


পুলিশ যখন পূজাকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন তিনি তার কাজের জন্য ক্ষমা চাইতে শুরু করেন। সে নিজেকে অপরাধী বলতে শুরু করে। দ্রুত ভেঙে পড়েন। কীভাবে প্রিন্সকে মেরেছেন, তা জানান পূজা। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পূজাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন, পূজা তার ভাগ্নে প্রিন্সকে নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। তিনি অনুভব করেছিলেন যে, তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে ভালোবাসে করে না। তারা শুধু তাদের মেয়ে এবং নাতিকে ভালোবাসে। এই বিরক্তি থেকেই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে পূজা। পুলিশ মাটি থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ঘটনায় পরবর্তী কার্যক্রম চলছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad