ভেঙে ফেলা হবে বঙ্গ বিজেপির চলতি মডিউল, চূড়ান্ত পরবর্তী রাজ্য সভাপতি - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 25 June 2024

ভেঙে ফেলা হবে বঙ্গ বিজেপির চলতি মডিউল, চূড়ান্ত পরবর্তী রাজ্য সভাপতি



ভেঙে ফেলা হবে বঙ্গ বিজেপির চলতি মডিউল, চূড়ান্ত পরবর্তী রাজ্য সভাপতি 


নিজস্ব সংবাদদাতা, দিল্লী, ২৫ জুন: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রতিবেদন মিলবেনা। আপাতত পরিবর্তন হচ্ছে না। মন্ত্রিত্বের সঙ্গে সভাপতিত্ব সামলাতে হবে সুকান্ত মজুমদারকে। 


যারা লোকসভা নির্বাচনে হারের পর মেদিনীপুর, ব্যারাকপুর, বসিরহাট, মুর্শিদাবাদ, মালদা দক্ষিণ, মালদা উত্তর ও বালুরঘাট চষে বেড়ানো দিলীপ ঘোষকে ফের রাজ্য সভাপতি পদে বসতে পারেন বলছেন তাদের অনুমান মিলবে না। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দিলীপের এই রাজনৈতিক সফর নিয়ে যে জল্পনা করছেন, তা ঠিক নয়। যদিও দিলীপের এই সফর নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব কিছুই জানেন না।এমনকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাকে ঘুরতে বলেছেন কিনা সে তথ্যও নেই রাজ্যের কোনও নেতার কাছে।


বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্ত্রী হওয়ার পর বাংলায় রব উঠেছিল রাজ্য সভাপতি পদে নতুন কাউকে আনা হতে পারে। তবে মিডিয়া প্রতিবেদকরা জানেন না রাজ্য সভাপতি পদে নতুন কাউকে বসানোর মত দ্বায়িত্বে কেউ নেই। জেপি নাড্ডা বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নন। ভারপ্রাপ্ত। ফলে বাংলার সংবাদমাধ্যম নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবরের দোহাই দিয়ে একের পর এক নানা জনের নাম বসিয়ে সম্ভাব্য বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসাবে একাধিক নাম নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন করছেন। কেউ কেউ আবার কয়েক কদম এগিয়ে বলছেন এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বসতে পারেন কোনও মহিলা। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলছেন বাংলায় কি তেমন কোনও মহিলা আছে রাজ্যের সভাপতি পদ সামলানোর মতো! নাকি কোন মহিলার পক্ষে বাস্তবে ওই পদ সমালানো সম্ভব। কারণ যিনি রাজ্য সভাপতি হবেন তাকে দিনরাত রাজ্য ঘুরে ঘুরে কাজ করতে হবে। যা কোনও মহিলার পক্ষে বাস্তবে বেশ কঠিন। আর বিজেপিতে তেমন কোন মহিলা নেত্রী বাংলায় আপাতত নেই। যদিও সংবাদমাধ্যমে নানা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী কিংবা প্রাক্তন সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে করা হতে পারে রাজ্য সভাপতি। আবার ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারীকে‌ও এই দায়িত্ব আনা হতে পারে। তেমনি ভাবে ঘুরে ফিরে আসছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম। এমন সব প্রতিবেদন দেখে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ রীতিমতো সাংবাদিকদের নিয়ে হাসি ঠাট্টায় মেতেছেন।

কারণ বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচনে সব সময় আরএসএসের যথেষ্ট ভূমিকা থাকে। আর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আরএসএস। কারণ বাংলার জনবিন্যাস বদলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারবেন এবং সংগঠন সাজাতে পারবেন এমন শক্তপোক্ত কাউকে রাজ্য সভাপতির পদে বসানো হবে বলে সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। এমনকি পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবে তা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে তাকে প্রকাশ্যে আনা বা বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন দিল্লির নির্ভরযোগ্য সূত্র। সূত্রের দাবি, আগামী বছর আরএসএসের প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্তি। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর দিন সংঘের পথ চলা শুরু হয়েছিল তাই চলতি বছরের বিজয় দশমী থেকে নানা কর্মসূচি শুরু হবে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্গ চাইবে এমন কেউ বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বে থাকুন যিনি সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যাতে বিজেপি ও সংঘের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে তিনি চলতে পারেন। সে কথা মাথায় রেখেই সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে।

সূত্রের দাবী, যারা বাংলার বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদের রদবদল নিয়ে বলছেন এবং প্রতিবেদন করছেন তারা ভুলে গেছেন সর্বভারতীয় স্তরে এই মুহূর্তে বিজেপির সভাপতি পদে ভারপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন জেপি নাড্ডা। কারণ বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে তিনি আর সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না। তেমনিভাবে নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার আগে সংগঠনের একেবারে নিচু তলা থেকে সম্মেলন অনুষ্ঠিত করা সহ সাংগঠনিক নির্বাচন শুরু হবে। আর এ কাজের আগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে কোন বদল হচ্ছে না বলে বিজেপির নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর। 


সূত্রের আরও দাবী, বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি কথা ভাবা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের মধ্যে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে কোনও রকম বদল হচ্ছে না । এমন দাবি করেছেন সূত্র। ফলে ততদিন মন্ত্রিত্ব ও সভাপতিত্ব দুই গুরু দায়িত্বই সুকান্ত মজুমদারকে একসঙ্গে পালন করতে হবে। 


দিল্লীর নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবী, বাংলার সংবাদমাধ্যমে যে সমস্ত নাম ঘোরাফেরা করছে বাংলার রাজ্য সভাপতি পদে তারা কেউই হচ্ছেন না। কারণ তারা কেউ আরএসএসের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন নন। সূত্রের আরও দাবী, দিলীপ ঘোষ বা সুকান্ত মজুমদারের মতো নতুন কাউকে এনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বসানো হচ্ছে না। ফলে যিনি হচ্ছেন তিনি ইতিমধ্যেই বিজেপি সংগঠনের কোনও না কোনও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। প্রশ্ন তাহলে দিলীপ ঘোষ এভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরছেন কেন? সূত্রের দাবী, বিধানসভা উপনির্বাচনের দিলীপকে ফের প্রার্থী করা হতে পারে। জিতলে পরে তাঁকে করা হতে পারে বিরোধী দলনেতা। সে ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর কি হবে ? এমন প্রশ্নের উত্তরে সূত্রের ব্যাখ্যা, শুভেন্দু অধিকারীকে অন্য ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। 

দিল্লির বিজেপি বেশ কিছু সূত্রের দাবি, বিজেপি যেভাবে বাংলায় চলছে সেই মডিউল ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে সংগঠন। বাংলার যে নেতারা দিল্লীর বেশ কিছু নেতৃত্বের ছত্রছায়ায় চলছিল তাদের ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। দেশ থেকে রাজ্যের সংগঠনে ওই নেতাদের আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না বলে জানিয়েছে সূত্র। তবে দিল্লীর বিশ্বস্ত সূত্রগুলোর এই দাবী বাস্তবে আদৌ মেলে কিনা তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad