"আরও মারাত্মক হতে পারত", ট্রেন দুর্ঘটনায় আশঙ্কাপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৭ জুন, কলকাতা : উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। সোমবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমদম বিমানবন্দরে বলেন, "ভারত সরকার যখন খবরও পায় নি, তখন থেকে আমাদের প্রশাসন সক্রিয় ছিল। আমি সকাল ৯টা থেকে নিজে মনিটরিং করছি। আমরা অবিলম্বে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাই, ডাক্তার পাঠাই, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করি, মৃতদেহ উদ্ধার করি, বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠাই। গোটাটাই আমরা করি।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সকাল থেকেই তিনি উত্তরবঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ফ্লাইট পাননি। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ফ্লাইটের এমন দুর্দশার কথা আমার জানা ছিল না। ১২:৪০ এর একটি ফ্লাইট বুক করা হয়ে গিয়েছে। তারপর মাঝখানে কোনও ফ্লাইট নেই। অথচ আমরা ফুয়েল চার্জ ফ্রি করে দিয়েছিলাম। এবার আমি ভাবব।" এর পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশে কী হচ্ছে জানি না। রেলপথে প্রায়ই দুর্ঘটনা। এর আগে যেটা হল সেখানেও আমি গিয়েছিলাম। এখনও অনেক মৃতদেহ পড়ে আছে, যাদের পরিচয় জানা যায়নি। হয়তো একসঙ্গে সৎকার করে দেবে।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "দুর্ঘটনা হতেই পারে, এটা কারও হাতে নেই। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস আমি তৈরি করে দিয়ে এসেছিলাম। রাজধানীর পরে একমাত্র দুরন্ত স্পিড আপ করেছিল। এখন কোথায় আছে জানি না। সেটাই নকল করে। যত না করছে, তার বেশি ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এই জায়গাটা ব্ল্যাক স্পট। এর আগে গাইসাল দুর্ঘটনা হয়েছিল আরও একটু দূরে। চোপড়ার কাছে সীমান্তের ফাঁসিদেওয়ায় যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা আরও মারাত্মক হতে পারত। একটা ট্রেন এসে আরেকটা ট্রেনে ধাক্কা মারে তখন ঠিক থাকে না, একটা বগি ভেঙে পড়বে না ১০টা।"
যদিও দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের একটি মেডিক্যাল কলেজে যাবেন বলে জানিয়েছেন। সংঘর্ষ বিরোধী ডিভাইস সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, 'এটি প্রতিটি ট্রেনে লাগানো ছিল। চালক ঘুমিয়ে পড়লেও অ্যালার্ম বাজবে। দুটি ট্রেন কাছাকাছি এলে তারা থামবে।' উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে তার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন।
No comments:
Post a Comment