মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ! পুলিশ গ্ৰেফতার করতেই গোপনাঙ্গ কাটলেন অভিযুক্ত
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ জুন: যৌন শোষণের অভিযোগে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু আদালতে পেশ করার আগেই চাঞ্চল্যকর কাণ্ড ঘটায় ওই অভিযুক্ত। বাথরুমে যাওয়ার নাম করে রেজার দিয়ে সে তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলে। তার চিৎকার শুনে পুলিশ বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ভেতরের দৃশ্য দেখে কার্যত বাকরুদ্ধ পুলিশ। দেখা যায় অভিযুক্ত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ঘটনা রাজস্থানের জয়সলমীরের।
পুলিশ দ্রুত আহত অভিযুক্তকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে যোধপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে আহত অভিযুক্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি পোখরান এলাকার। এখানে রবিবার গভীর রাতে, একজন মহিলা ৩৫ বছর বয়সী আব্দুল রশিদের বিরুদ্ধে যৌন শোষণের অভিযোগে পোকরান থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তৎক্ষণাৎ তৎপর হয়ে আব্দুলকে গ্রেফতার করে। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করার কথা ছিল। রাতভর তাকে থানায় রাখা হয়।
সোমবার সকালে অভিযুক্তকে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। সেই সময় সে বলে, তাকে বাথরুমে যেতে হবে। পুলিশ তাকে অনুমতিও দেয় এবং সে সাথে সাথে বাথরুমে চলে যায়। সেখানে গিয়ে রেজার ব্লেড দিয়ে নিজের গোপনাঙ্গ কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আহত হওয়ায় অভিযুক্ত চিৎকার করে ওঠে, যা শুনে পুলিশ তাকে দরজা খুলতে বলে। সে দরজা না খুললে পুলিশ বাথরুমের দরজা ভেঙে দেয়। তারা যন্ত্রণায় কাতর আব্দুলকে বাথরুমে প্রায় অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাকে পোখরান হাসপাতালে নিয়ে যায়। অভিযুক্তের অবস্থা খুবই গুরুতর। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যোধপুরে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। তার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের অপরাধ প্রবণতা রয়েছে। সে প্রায়ই মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে। সে বিবাহিত কিন্তু তার কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তিনি আর তার সাথে থাকেন না। স্ত্রী চলে যাওয়ার পরও অভিযুক্তের উন্নতি হয়নি। এমনকি এখনও সে প্রকাশ্যে মহিলাদের হয়রানি করে। বর্তমানে অভিযুক্তর সুস্থ হওয়ার অপেক্ষা। এর পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment