লাভজনক মাছ চাষের খাদ্য চাহিদা কতটুকু!
রিয়া ঘোষ, ১৮ জুন : লাভজনক মাছ চাষের জন্য মানসম্মত খাদ্য অন্যতম প্রধান শর্ত। কারণ মাছ চাষে ৭০ শতাংশের বেশি ব্যয় হয় খাদ্য সরবরাহে। বাজারের খাদ্য এবং স্ব-তৈরি খাদ্য সরবরাহ। সঠিক পুষ্টিমান এবং মাছের আকার ও বয়সের জন্য উপযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে কোন উপকার হবে না। তাহলে জেনে নিন কোন ধরনের মাছের জন্য কতটুকু খাদ্য প্রয়োজন, কতটুকু সরবরাহ করতে হবে।
যে কোনও ধরনের মাছের খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা জানার আগে সম্পূর্ণ মাছের খাদ্য ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা জানা জরুরি। বেশি ঘনত্বে বড় মাছ পালন করা যায়। কম সময়ে স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিশালী পোনা উৎপাদন করা যায়। মাছের দৈনিক দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করা যেতে পারে। মাছ বা চিংড়ির বাচ্চাদের বেঁচে থাকার হার বৃদ্ধি পায়। মাছ পুষ্টির অভাবে সৃষ্ট রোগ থেকে মুক্ত। মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
যদি খাবারটি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয় তবে খাবারের পুষ্টির গুণমান জানা যায়। মাছ যেমন কম সরবরাহের কারণে কাঙ্খিত উৎপাদন করতে পারে না, তেমনি অতিরিক্ত সরবরাহের কারণেও ক্ষতি হয়।
এতে খাদ্য ও অর্থ উভয়েরই অপচয় হয় এবং পানি দূষণের কারণে মাছ মারা যায়। সাধারনত, যেহেতু স্পনিং মাছের সংখ্যা অজানা, গড় ফিড প্রয়োগ সঠিক পরিমাণে খাদ্য প্রদান করতে পারে না। এ জন্য মাছের সংখ্যা ও গড় ওজন জেনে এবং জলের গুণাগুণ বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। অনেকে নিয়মিত খাবার দেওয়ার পরিবর্তে মাঝে মাঝে এবং অনিয়মিতভাবে খাওয়ান।
এভাবে খাদ্য সরবরাহ করা গেলে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ সম্ভব নয়। অন্য কথায়, যদি চাষের মাঝখানে খাদ্য সরবরাহ ব্যর্থ হয়, তাহলে কৃষক লাভবান হতে পারে না। জৈব ও অজৈব সার মাছ চাষে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। অনেক কৃষক শুধু সার যোগ করে মাছ চাষ করতে পছন্দ করেন।
এই বিবেচনায়, অতিরিক্ত সার ব্যবহার বিপদ ডেকে আনে। জলে প্লাঙ্কটনের বৃদ্ধি সমস্যা সৃষ্টি করে এবং এক পর্যায়ে জলের অপচয় হয় এবং পুকুরে গ্যাস তৈরি হয়ে মাছ মারা যায়। তাই প্রয়োজন হলেই সার দিতে হবে, অন্যথায় প্রয়োজন নেই। মাছের সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment