শিক্ষাঙ্গনে রক্তারক্তি কাণ্ড! ঘটল কী? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 13 June 2024

শিক্ষাঙ্গনে রক্তারক্তি কাণ্ড! ঘটল কী?

 


শিক্ষাঙ্গনে রক্তারক্তি কাণ্ড! ঘটল কী? 




নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৩ জুন: এ যেন একটি নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলা। শিক্ষাঙ্গনে ঝড়ল রক্ত। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক সহ সদস্যদের লোহার রড এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক সহ দুই অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় স্তম্ভিত অভিভাবক মহল। সকলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই গণ্ডগোলের নেপথ্যে প্রধান শিক্ষকের লাগামছাড়া দুর্নীতি। এমনটাই অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির সহ অভিভাবকদের। যদিও সমস্তটাই চক্রান্ত বলে দাবী প্রধান শিক্ষকের। প্রধান শিক্ষক এবং এক অশিক্ষক কর্মীকে আটক করল পুলিশ। প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির কথা মেনে নিল তৃণমূলও। 'তৃণমূলের আমলে শিক্ষাতেও দুর্নীতি', খোঁচা বিজেপির। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার টাল বাঙ্গরুয়া হাই মাদ্রাসাতে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐ হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে পূর্বে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, রূপশ্রী সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পে নয় ছয় করার অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি ওই মাদ্রাসার মিড ডে মিল নিয়ে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে। এমনকি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড ডে মিল প্রকল্পের চাল চুরির অভিযোগও ওঠে। এদিন এই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে মাদ্রাসায় যান নব-নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক এবং কয়েকজন সদস্য। 


তারা প্রধান শিক্ষককে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উল্টে প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম আক্রমণ করেন সেক্রেটারি আব্দুল মাতিন ও অন্যান্য সদস্যদের ওপর। অভিযোগ ওই সময় মাদ্রাসার দুই অশিক্ষক কর্মীর সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষক ওই তিনজন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মারধর করেন। এমনকি সেক্রেটারিকে চাকু দিয়ে কোপানো পর্যন্ত হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই গণ্ডগোলের আওয়াজে স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকরা ছুটে আসেন। তারপরই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের গণ্ডগোল বেঁধে যায়। আহত ম্যানেজিং কমিটির সেক্রেটারি এবং অন্যান্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। 


গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এবং ভালুকা ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলম, গোলাম রব্বানী নামের অশিক্ষক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সমগ্র ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।


যদিও প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী আনোয়ারুল আলম বলেন, 'প্রধান শিক্ষক দুর্নীতিগ্ৰস্থ। এর আগেও ওনার বিরুদ্ধে কন্যাশ্রী, ট্যাবের টাকা, মিড ডে মিল সংক্রান্ত-সহ অনেক বিষয়ে অভিযোগ আছে।আজকের মারধরের ঘটনাও আমরা শুনেছি। আইন আইনের পথে চলবে।'


তবে বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। মালদা উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সহ সভাপতি অয়ন রায় বলেন, 'শিক্ষাতেও দুর্নীতি শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের আমলে। সেটাই প্রকট হয়ে সামনে আসছে।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad