বিশ্বের ভয়ংকর দুটি পুতুল! যা আপনাকে শিহরিত করবে
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১০ জুন:
ছোট শিশুদের কাছে পুতুল সর্বক্ষনে সঙ্গী। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে সবাই ছোটবেলায় কমবেশি পুতুল খেলেছেন। নানান আকারের পুতুল ছিল শৈশবের পরম বন্ধু। তবে কিছু পুতুল ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে ভয়ংকর হিসেবে।বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর পুতুল অ্যানাবেলার কথা নিশ্চয়ই জানেন।
তবে অ্যানাবেলার চেয়েও ভয়ংকর আরও বেশ কয়েকটি পুতুলের কথা জানা গেছে বিভিন্ন সময়।যেগুলো এখনো রাখা আছে বিভিন্ন মিউজিয়ামে। চলুন এমন ২ পুতুলের কথা জেনে নেওয়া যাক-
ম্যান্ডি:
ম্যান্ডি নামের একটি চিনামাটির পুতুল পৃথিবীর সবচাইতে ভয়ংকর পুতুলগুলোর মধ্যে একটি। ধারণা করা হয়,১৯১০ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে জার্মানি কিংবা ইংল্যান্ডে তৈরি করা হয়েছিল ম্যান্ডি নামের এই পুতুলটা। দীর্ঘদিন ধরে ম্যান্ডি সংরক্ষিত ছিল এক নারীর কাছে,যিনি দাবি করতেন,পুতুলটার কান্না শুনতে পেতেন তিনি।বাড়ির বেসমেন্টে থাকত পুতুলটা। সেখান থেকেই আসত কান্নার শব্দ।পরবর্তী সময়ে ম্যান্ডিকেকে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কুইনেল মিউজিয়ামে দান করে দেন সেই নারী। কিন্তু মিউজিয়ামেও নানা রকম ঘটনা ঘটায় ম্যান্ডি। নিয়মিতভাবেভাবে হারাতে শুরু করে অনেকের খাবার,অন্যান্য জিনিসপত্র। কোথেকে যেন ভেসে আসে পায়ের শব্দ।মিউজিয়ামের কর্মচারীরা দাবি করেন,অন্য পুতুলদের খোঁজখবরও নিত ম্যান্ডি। মিউজিয়ামের বিভিন্ন পুতুলের কাচের ঘরে নক করতে অনেকেই দেখেছে ম্যান্ডিকে। অনেকে বলেন,পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চোখটা যেন জ্বলে ওঠে ম্যান্ডির।
পেগি:
জেন হ্যারিস,একজন অতিপ্রাকৃতিক বিষয়ক তদন্তকারী,পেগি নামক এক ভৌতিক পুতুলের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন। সবচাইতে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে এই পুতুলটি যেই জায়গায় আছে তার আশেপাশে ভৌতিক ঘটনাগুলি ঘটে থাকে।কিন্তু পেগির প্রভাব কারো ওপর পড়ার জন্য তার ছবি বা ভিডিওই যথেষ্ট। প্রথম পেগির ছবি ও ভিডিও বের হওয়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮০ জন মাথাব্যথা, অস্থিরতা এবং হ্যালুসিনেশন এর কথা বলেছেন। এমনকি একজন নারী পুতুলের ভিডিও দেখে হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন বলে দাবি করা হয়।
No comments:
Post a Comment