লঙ্কা কাটার পর হাত জ্বালা? এই টিপসেই হবে মুশকিল আসান
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৭ জুন: কাঁচা লঙ্কা খাবারের স্বাদ বাড়ালেও এটা কাটা খুবই কঠিন। লঙ্কা খুব ঝাল হলে, এটি হাতে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। ভুলবশত লঙ্কার হাত শরীরের অন্য কোনও অংশে লেগে গেলে অবস্থা খারাপ হবে এটা নিশ্চিত। তবে এমন কিছু টিপস আছে, যা মানলে লঙ্কা কাটার পর আপনার হাত কখনই জ্বলবে না। তবে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক লঙ্কা কাটার পর কেন জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়? যতই লঙ্কা কাটতে ছুরি ব্যবহার করা হোক না কেন, এটার কারণ কী?
এর ফলে জ্বালাপোড়া হয়
তথ্য অনুযায়ী, লঙ্কার মধ্যে একটি রাসায়নিক রয়েছে, যার নাম ক্যাপসাইসিন। লঙ্কার ঝাল অনুযায়ী এই রাসায়নিকের পরিমাণ কমবেশি থাকে। যখন কেউ ছুরি বা বটি দিয়ে লঙ্কা কাটেন, তখন এই রাসায়নিকটি ত্বকের সংস্পর্শে আসার পর বিক্রিয়া শুরু করে। এ কারণে ত্বক লাল হয়ে যায় এবং দ্রুত জ্বলতে থাকে।
গ্লাভস পরে লঙ্কা কাটা
আজকাল বাজারে প্লাস্টিকের গ্লাভস আসতে শুরু করেছে, যেগুলো পরে লঙ্কা কাটলে ক্যাপসাইসিন রাসায়নিক ত্বকে প্রভাব ফেলে না এবং জ্বালাপোড়াও হয় না। আপনি অনেক রেস্টুরেন্টে এই ধরনের গ্লাভস পরা ওয়েটার ইত্যাদি দেখতে পারেন। এগুলো সাধারণ প্লাস্টিকের তৈরি এবং এগুলোর দামও অনেক কম।
জ্বালাপোড়া হলে কী করবেন?
এখন প্রশ্ন জাগে লঙ্কা কাটার সময় গ্লাভস না থাকলে এবং হাত জ্বালা করলে কী করা উচিৎ? প্রথমে ফ্রিজ থেকে এক টুকরো বরফ নিয়ে হাতে ঘষে নিন। বরফের শীতলতা হাতের জ্বালাপোড়া কমায়, যা আরাম দেয়।
এই পদ্ধতিগুলিও খুব কাজে আসে
ঘৃতকুমারী ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা নিরাময়ের জন্য একটি রামবাণ প্রমাণিত। লঙ্কা কাটার পর যখন আপনি আপনার হাতে জ্বালা অনুভব করেন, তখন কিছুটা ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা লাগিয়ে ঘষে নিন। এটি অল্প সময়ের মধ্যে জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া জ্বালাপোড়া তীব্র হলে লেবু ঘষে উপশম পেতে পারেন। লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিডের সাহায্যে লঙ্কার রাসায়নিকের প্রভাব কমে যায়। আপনার যদি অ্যালোভেরা এবং লেবু না থাকে তবে কাটার কাটার পরে ময়দা মেখে নিন, এতে জ্বালাপোড়া দ্রুত দূর হবে।
No comments:
Post a Comment