ঝাড়খণ্ড ভ্রমণের সেরা কিছু স্পট
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৮ জুন:
চমৎকার সংস্কৃতি ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এক রাজ্য ঝাড়খণ্ড। এটি 'ল্যান্ড অব ফরেস্ট' কিংবা 'বনভূমির এলাকা' হিসেবেও সুপরিচিত। ব্যুৎপত্তিগতভাবে এর অর্থ হচ্ছে 'ঝোপঝাড়প্রবণ এলাকার বন।'
এর পাশাপাশি রাজ্যটির জীববৈচিত্র্যও বেশ সমৃদ্ধ।এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক পর্যটকদের জন্য ঝাড়খণ্ডে কী কী আকর্ষণ অপেক্ষা করছে-
জামশেদপুর:
'দ্য স্টিল সিটি অব ইন্ডিয়া' নামে সুপরিচিত জামশেদপুর। বিখ্যাত টাটা স্টিলের হোমটাউন হলো ঝড়খন্ডের বৃহত্তম এই শহর। পুরোনো এ শহরের গোড়াপত্তন ঘটে ১৯১৯ সালে,যার পরিকল্পনা করেছিলেন জামসেটজি নুসেরওয়ানজি টাটা।
জমশেদপুর বেড়াতে গেলে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন জুবিলী পার্ক,ডালমা ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি,ডিমনা লেক,টাটা স্টিল জুওলজিক্যাল পার্ক,দ্য জামশেদপুর মেরিন ড্রাইভ প্রভৃতি।
বেতলা ন্যাশনাল পার্ক:
বেতলা ন্যাশনাল পার্ক হলো এমন একটি জায়গা যেটি বাঘ সংরক্ষণের দিক থেকে ভারতের প্রথম ন্যাশনাল পার্কগুলোর একটি।বেতলার আছে একটি সমৃদ্ধ বন্য জীবন,যাকে হয়তো সেভাবে গোনায় ধরা হয় না।বেতলা ন্যাশনাল পার্ক হলো বাঘ,লোপার্ড,চিতাল,ভালুক,বাইসন,ইঁদুর প্রজাতির হরিণ প্রভৃতির আবাসস্থল।
সত্যিকার অর্থ বেতলা হচ্ছে বাইসন,হাতি,বাঘ,লোপার্ড ও চিত্রা হরিণের এক ট্রেডমার্ক। বন্য জীবন দেখার পর যদি আপনার হাতে সময় থাকে তাহলে যেতে পারেন পালামু ফোর্টে।পুরোনো এই দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন রাকসেল রাজবংশের রাজা। বেতলা থেকে এর দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার
নেতারহাট:
নেতারহাট হল ঝড়খন্ডের লাতেহার জেলার একটি দৃষ্টিনন্দন হিল স্টেশন।চমৎকার হিল স্টেশনটি আদর করে অনেকেই ডাকেন 'ছোট নাগপুরের রানি।'বর্ষাকালের বৃষ্টির পর নেতারহাটের পুরো এলাকাই পরিণত হয় শাল, মহুয়া ও কেন্ডু গাছের সবুজ ছায়ায়।
স্থানটি আসলেই দেখার মতো।গোটা রাজ্যের জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর একটি হল নেতারহাট।ঝড়খন্ডের দীর্ঘতম ও ভারতের একবিংশতম লোধ জলপ্রপাত নেতারহাটের কাছেই অবস্থিত।
No comments:
Post a Comment