কৃষক বন্ধুর টাকা নাবালকদের অ্যাকাউন্টে! ভিত্তিহীন অভিযোগ বলছে প্রশাসন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 24 June 2024

কৃষক বন্ধুর টাকা নাবালকদের অ্যাকাউন্টে! ভিত্তিহীন অভিযোগ বলছে প্রশাসন


কৃষক বন্ধুর টাকা নাবালকদের অ্যাকাউন্টে! ভিত্তিহীন অভিযোগ বলছে প্রশাসন 



নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৪ জুন: কৃষক বন্ধু নিয়ে দুর্নীতির খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। জেলা শাসকের নির্দেশে সরজমিনে তদন্তে বিডিও এবং কৃষি আধিকারিক, ১৮০ ডিগ্ৰি ভোল পাল্টালেন অভিযোগকারী চাষীরা, মিলল না দুর্নীতির প্রমাণ। ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ সিএসপি-র মালিকের বিরুদ্ধে। 


কৃষক বন্ধুর টাকা নিয়ে হচ্ছে দুর্নীতি। বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত চাষিরা। চাষীদের এমনই অভিযোগে শোরগোল পড়ে যায়। সেই খবর সম্প্রচারিত হয় সংবাদমাধ্যমে। খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জেলাশাসকের নির্দেশে সরেজমিনে তদন্ত করেন আধিকারিকরা। যদিও তদন্তে গিয়ে কোনও রকম দুর্নীতির প্রমাণ সামনে আসেনি। যে চাষীরা এই অভিযোগ এনেছিলেন তারাই সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রি ভোল পাল্টে দিয়েছেন। 


জানা গেছে, স্থানীয় সিএসপির মালিক বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছিলেন। প্রত্যেক চাষী সঠিক ভাবে তাদের টাকা পাচ্ছেন। অতি সম্প্রতি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলজান্না এলাকায় কৃষকরা এই অভিযোগ এনেছিলেন। সেই এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে অভিযোগের তদন্ত করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও তাপস কুমার পাল এবং সহকারী কৃষি অধিকর্তা প্রভাত উৎপল আচার্য।


অভিযোগ উঠেছিল হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের তেলজান্না সুইস গেট এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক, কৃষক বন্ধুর টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নির্দিষ্ট জমির ভিত্তিতে সেই কৃষকদের আইডি হয়েছে। কিন্তু কৃষক বন্ধুর টাকা ঢোকেনি তাদের অ্যাকাউন্টে। স্থানীয় সিএসপিতে গিয়ে তারা জানতে পারেন তাদের টাকা ঢুকছে নাবালকদের অ্যাকাউন্টে। একজনের কাছেই থাকছে ১০০ থেকে ১৫০টি অ্যাকাউন্ট। তার মাধ্যমেই চলছে দুর্নীতি। একই পরিবারের ৫ থেকে ৬ জন নাবালোকের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে টাকা। এমনকি বিহারের অ্যাকাউন্টেও টাকা যাচ্ছে বাংলার কৃষকদের


অভিযোগ ওঠার পর নড়ে চড়ে বসে ব্লক প্রশাসন। এদিন ওই এলাকায় ছুটে যান প্রশাসনিক কর্তারা। তারা সমস্ত অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কাগজপত্র খতিয়ে পরীক্ষা করার পর প্রশাসনিক কর্তারা জানান, 'ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সমস্ত কাগজপত্র ঠিক আছে এবং নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে। এলাকার এক সিএসপি মালিক ওয়াসিম এলাকার কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে বিক্ষোভ তৈরি করেছিলেন। আমরা এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি।'


যদিও প্রশাসনিক তৎপরতায় সামনে এসেছে প্রকৃত সত্য, তবে প্রশ্ন উঠছে কেন এই ধরণের ভুয়ো অভিযোগ তুলেছিলেন কৃষকরা? তাদের উদ্দেশ্যটাই বা কী ছিল?

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad