হাসপাতালে ভর্তি শত্রুঘ্ন সিনহা, দেখা করতে পৌঁছলেন সোনাক্ষী-জহির
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ জুন: মাত্র কয়েকদিন আগে বিয়ে হয়েছে সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবালের। এর মধ্যেই হাসপাতালের বাইরে তাদের গাড়ি দেখে চমকে যান সবাই। বিয়ের ৬ দিন পর হঠাৎ কী এমন হল যে হাসপাতালের বাইরে দেখা গেল নব দম্পতিকে! কিন্তু এখন এর পেছনের কারণ সামনে এসেছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শত্রুঘ্ন সিনহা আহত হয়েছেন, যার কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকে দেখতেই সেখানে পৌঁছেছিলেন সোনাক্ষী ও জহির। এই খবর নিশ্চিত করেছেন পহলাজ নিহালানিও।
তবে বলা হয়েছিল, শত্রুঘ্ন সিনহা রুটিন চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলে। কিন্তু টাইমস নাও-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শত্রুঘ্ন তাঁর বাড়ির ডাইনিং হলে পড়ে গিয়েছিলেন। সূত্র জানায়, অভিনেতাকে প্রায়ই বাড়ির ডাইনিং হলের সোফায় বসে আরাম করতে দেখা যায়। এটি তার প্রিয় জায়গা, এখানেই তিনি বেশিরভাগ ইন্টারভিউ দেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ জুন। শত্রুঘ্ন সোফা থেকে ওঠার সাথে সাথেই তার পা প্রান্তে লাগে এবং কার্পেটের কারণে পিছলে যায়। শত্রুঘ্নের মেয়ে সোনাক্ষী কাছাকাছি উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি দ্রুত তাঁর বাবার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, অন্যথায় আঘাতটি আরও গুরুতর হতে পারত।
শত্রুঘ্নকে অবিলম্বে বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং তিনি একদিন বাড়িতে বিশ্রামও নেন। কিন্তু তার পাঁজরের ব্যথা কমেনি, তাই পরদিন সকালে তাঁকে কোকিলাবেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তির পরামর্শ দেন, যাতে অন্য সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, অভ্যন্তরীণ কোনও চোট হয়েছে কি না। যদিও রিপোর্টে সবকিছু স্বাভাবিক এসেছে। বলা হচ্ছে, শত্রুঘ্নকে আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার ছাড়া হবে।
এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাতা বন্ধু পহলাজ নিহালানিও। শত্রুঘ্নের সঙ্গে দেখা করতে তিনি ক্রমাগত হাসপাতালে যাচ্ছেন। পহলাজ বলেন- হ্যাঁ, শত্রু হাসপাতালে। তবে তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ। তিনি আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে বাড়িও ফিরে আসবেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি (২৩ জুন) স্ত্রী পুনম সিনহার সঙ্গে মেয়ে সোনাক্ষীর বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। যদিও আগে বলা হচ্ছিল এই সম্পর্ক নিয়ে তিনি অসন্তুষ্ট। কিন্তু বিয়ের দিন তিনি শুধু নব দম্পতিকে আশীর্বাদই করেননি, জহিরের সঙ্গে পূজাও করেছিলেন। কন্যাদান করার ছবিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
No comments:
Post a Comment