ভিন্ডি ফসল নষ্ট করে দেয় এইসব রোগ, বাঁচাতে দেখুন বিশেষজ্ঞর পরামর্শ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 11 June 2024

ভিন্ডি ফসল নষ্ট করে দেয় এইসব রোগ, বাঁচাতে দেখুন বিশেষজ্ঞর পরামর্শ


ভিন্ডি ফসল নষ্ট করে দেয় এইসব রোগ, বাঁচাতে দেখুন বিশেষজ্ঞর পরামর্শ 



নতুন দিল্লী: কৃষকরা গ্রীষ্মের মরসুমে ঢ্যাঁড়শ বা ভিন্ডি চাষ করেন। কিন্তু গ্রীষ্মকালে হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবজিতে নানা ধরনের রোগবালাই দেখা দেয়। বিশেষ করে যদি ঢ্যাঁড়ে, হলুদ মোজাইক, পাউডারি মিলডিউ রোগ, ফল ছেদক এবং কটুয়া পোকা এর ব্যাপক ক্ষতি করে। সময়মতো এটি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। এগুলো নিয়ন্ত্রণে একটু দেরি হলে চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।


কৃষি বিজ্ঞান নিয়ামতপুরে পোষ্ট করা উদ্ভিদ সুরক্ষা রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নুতন ভার্মা বলেন, ভেন্ডি ফসল অল্প সময়ে কৃষকদের ভালো আয় দেয়। কিন্তু এতে অনেক ধরনের রোগ দেখা দেয়। সময়মতো এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। কৃষকরা যদি ভালো উপায়ে ভিন্ডির রোগ নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে তারা ভালো আয় পায়।


ফল ছেদক পোকা যা ভিন্ডি ফসলের খুব দ্রুত ক্ষতি করে। এই পোকা ফলের মধ্যে প্রবেশ করে এবং তাতে ডিম পাড়ে। সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ডাঃ নুতন ভার্মা জানান যে, যখন ভিন্ডি ফসলে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ফুল ফোটে, সেই সময় প্রতি ৩ লিটার জলে ১ গ্রাম থায়ামেথক্সাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ১৫ দিন পর অ্যামিডাক্লোপ্রিড বা কুনালফস স্প্রে করলেও রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।


পাউডারি মিলডিউ রোগ যা শুষ্ক মরসুমে পাতাকে প্রভাবিত করে। এ রোগের আগমনের পর পাতায় সাদা রঙের ময়দার মতো স্তর দেখা যায়। এর পর ডিন্ডি ফল আঁকাবাঁকা হতে থাকে। ধীরে ধীরে পাতা ঝরতে থাকে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার জলে ৩ গ্রাম সালফার পাউডারের দ্রবণ তৈরি করে স্প্রে করতে পারেন অথবা প্রতি লিটার জলে ৬ মিলি ক্যারোটিন মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। এতে করে রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।


ভিন্ডিতে হলুদ মোজাইক রোগ সাদা মাছি দ্বারা ছড়ায়। যার কারণে পাতার শিরা হলুদ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে ফলসহ পুরো গাছই হলুদ হয়ে যায়। সাদা মাছি নিয়ন্ত্রণ করতে ইমিডাক্লোপ্রিড ২ মিলি প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি লিটার জলে ২ মিলি থায়ামোথেটের দ্রবণ তৈরি করে আবার স্প্রে করুন। রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।


 কটুয়া পোকা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন

ভিন্ডিতে ধরা কটুয়া পোকা খুব দ্রুত ক্ষতি করে। এটি গাছের কান্ড কেটে ফেলে। এর পরে গাছটি পড়ে যায়। এমতাবস্থায় তা নিয়ন্ত্রণে মাটিতে মিশ্রিত কীটনাশক ব্যবহার করা জরুরি। ডাঃ নূতন ভার্মা বলেন যে, থিমাট ১০ জি এবং কার্বোফুরান ৩ জি ১০ কেজি প্রতি একর হারে মাটিতে মিশিয়ে দিন, যাতে কটুয়া পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করা যায়।


 ফসল কাটা কখন?

উদ্ভিদ সুরক্ষা রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নুতন ভার্মা বলেন, এই সমস্ত কীটনাশক স্প্রে করার পরে, ফসল কাটার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কীটনাশক স্প্রে করার ৫ দিন পর হারভেস্টিং করুন যাতে ওষুধের প্রভাব কমে যায়, অন্যথায় এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad