এখানে কালো চশমা পড়লে রক্ষা নেই, শত্রু দেশের গান শুনলেই মুত্যদণ্ড! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 29 June 2024

এখানে কালো চশমা পড়লে রক্ষা নেই, শত্রু দেশের গান শুনলেই মুত্যদণ্ড!

 


এখানে কালো চশমা পড়লে রক্ষা নেই, শত্রু দেশের গান শুনলেই মুত্যদণ্ড!  




প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৯ জুন: কালো চশমা শুধু ফ্যাশনের জন্যই নয় বরং তাপ থেকেও রক্ষা করে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যেখানে যতই রোদ থাকুক না কেন, আপনি কালো চশমা পরতে পারবেন না। যদি আপনি এটি পরেন তাহলে আপনার রক্ষে নেই। শুধু তাই নয়, এখানে কনেরা তাদের বিয়েতে সাদা গাউনও পরতে পারেন না। অন্য দেশের গান শুনলে আরও বিপাকে পড়তে হয়, শত্রু দেশের গান কেউ শুনলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত। এসব পড়ে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই! কিন্তু অবাক হলেও উত্তর কোরিয়ায় এসব ঘটছে।  


এখানকার শাসক কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়াকে শত্রু দেশ মনে করেন। তাই তিনি চান না উত্তর কোরিয়ার লোক সেখান থেকে কিছু গ্রহণ করুক। দক্ষিণ কোরিয়ায়, কনেরা বিয়ের সময় সাদা গাউন পরেন। এটি তাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা দেখে উত্তর কোরিয়ার মেয়েরাও গাউন পরতে শুরু করেন। এতে কিম জং উন এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন, তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেন যে কাউকে যদি এমনটি করতে দেখা যায় তাহলে তাকে শাস্তি দিতে হবে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মিনিস্ট্রি এই রিপোর্ট তৈরি করেছে।


রিপোর্ট অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনী বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। কেউ দক্ষিণ কোরিয়ার সাংস্কৃতিক পোশাক পরে আছে কিনা তা দেখার জন্য সেখানে লোকজনকে তল্লাশি করা হয়। মানুষকে ফ্যাশনেবল পোশাক পরা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। বর কনেকে পিঠে তুলতে পারে না। এটা করা হলে শাস্তি নিশ্চিত। লোকজনের ফোনেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোনও ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে কি না তা দেখা হচ্ছে।


শুধু তাই নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার গান শুনতে গিয়ে ঝরা পড়লে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হতে পারে। কয়েকদিন আগে, ২২ বছর বয়সী এক ছেলেকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল কারণ সে দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার চলচ্চিত্রের সিডি বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছিল। যদিও পরে উত্তর কোরিয়া এটাকে মনগড়া রিপোর্ট বলে আখ্যায়িত করে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে, উত্তর কোরিয়া একটি আইন করেছিল যাতে দক্ষিণ কোরিয়ার চলচ্চিত্র দেখা বা সিডি বিতরণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad