টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা! সংবেদনশীল এলাকায় জারি রেড অ্যালার্ট, বন্ধ দার্জিলিং-কালিম্পং সড়ক
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২১ জুন, শিলিগুড়ি : কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর সংবেদনশীল এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় জলপাইগুড়ি গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৩২৯৫.১৮ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলায় রাতভর প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। তিস্তা মেখলিগঞ্জ বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাল সংকেত জারি করা হয়। জলঢাকা নদীর সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত এলাকার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে জলপাইগুড়িতে। বৃষ্টির জেরে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বুধবার রাতভর প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার জলঢাকা নদীতে হলুদ সতর্কতা এবং বিকালে বাংলাদেশের তিস্তার মেখলিগঞ্জে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তিস্তাসহ জেলার বিভিন্ন নদী প্রবাহিত হচ্ছে। উদ্বেগ নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের। জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জলপাইগুড়ি গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে জলের পরিমাণ ৩২৯৫.১৮ কিউসেক।
বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং কালিম্পং রুট প্রায় বন্ধ। তিস্তার জল বৃদ্ধি পাওয়ায় পেশকের রাস্তার ওপর দিয়ে জল যাচ্ছে। এ কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিস্তা বাজার ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। কালিম্পং জেলা প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। তবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। ওই রাস্তায় সাবধানে গাড়ি চালানোর জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কিন্তু রাস্তায় অনেক জায়গায় জল জমে আছে। যার কারণে বড় বিপদ হতে পারে। তাই সব সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন। ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় ভূমিধস শুরু হয়েছে।
সিকিম, ভুটান ও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির ফলে নদীর জলস্তর ধীরে ধীরে বাড়ছে। আপাতত বৃষ্টি থামবে বলে ইঙ্গিত দেয়নি আবহাওয়া দফতর। আসাম, মেঘালয়, সিকিম ও উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি চলবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
No comments:
Post a Comment