ওয়েনাডে প্রিয়াঙ্কার মুখোমুখি হবেন স্মৃতি? ১৯৯৯-এর ইতিহাস কী পুনরাবৃত্তি করবে বিজেপি?
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ জুন: লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়েনাড এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি আসন থেকে জিতেছিলেন। রাহুল এখন ওয়েনাড আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি রায়বরেলি থেকে সাংসদ থাকবেন। ওয়েনাডের উপনির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ থেকে নির্বাচনী রাজনীতিতে নামতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের আরেক সদস্য।
দক্ষিণের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের পুরনো সম্পর্ক। ইন্দিরা গান্ধী কর্ণাটকের চিকমাগালুর থেকে ১৯৭৮ সালের উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। এরপর ১৯৮০ সালে অন্ধ্রের মেদক আসন থেকে ইন্দিরা জিতেছিলেন। ১৯৯৯ সালে, সোনিয়া গান্ধীও দক্ষিণ থেকে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি ১৯৯৯ সালে আমেঠি ও কর্ণাটকের বেল্লারি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং উভয় আসনেই জয়লাভ করেছিলেন। যদিও পরে তিনি বেল্লারি আসন ছেড়ে দেন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ওয়েনাড থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্তের পরে, এই আসন থেকে বিজেপি কাকে প্রার্থী করবে তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সহ রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে আলোচনা তীব্র হয়েছে। এমনও আলোচনা রয়েছে যে বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানিকে ওয়েনাড আসন থেকে প্রার্থী করতে পারে। যদিও স্মৃতি ইরানি এবার লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি থেকে কেএল শর্মার কাছে হেরে গিয়েছেন, কিন্তু ২০১৯ সালে তিনি কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি আমেঠি থেকে রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে এই আসন থেকে প্রার্থী করে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে বিজেপি।
বিজেপি আগেও টিকিট নিয়ে চমকে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৯৯ সালে, যখন বেল্লারি থেকে সোনিয়া গান্ধীর আত্মপ্রকাশের খবর প্রকাশিত হয়েছিল, বিজেপি এই আসন থেকে সুষমা স্বরাজকে টিকিট দিয়ে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। এই আসনে সোনিয়া গান্ধীকে কড়া টক্কর দিয়েছিলেন সুষমা। তবে এই নির্বাচনে তিনি হেরে যান। সোনিয়া গান্ধী পেয়েছিলেন ৪,১৪,০০০ ভোট। অপরদিকে সুষমা স্বরাজ সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। সোনিয়া গান্ধী এই নির্বাচনে প্রায় ৫৬,০০০ ভোটে জিততে সক্ষম হন।
No comments:
Post a Comment