"এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়", বাংলাদেশের সহিংসতা নিয়ে এমইএ বিবৃতি
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ জুলাই : বাংলাদেশে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন তুমুল হয়ে উঠেছে। আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১৩৩ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিপুল সংখ্যক ভারতীয় এবং ছাত্র প্রতিবেশী দেশে আটকা পড়েছে। এদিকে এমইএ আবারও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছি এবং সেখানকার উন্নয়ন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।" ভারত দেশের চলমান পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে।
এমইএ বলেছে যে, "বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতায় আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হওয়ায় যার সাথে আমাদের অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, আমরা আশা করি দেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে।" পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে যে প্রতিবেশী বাংলাদেশে সহিংস সংঘর্ষের কারণে ৪,৫০০ এরও বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী দেশে ফিরেছে।
এর আগেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি বেরিয়েছিল। তিনি বলেন, "বাংলাদেশে ভারতীয় মিশন ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।" একই সাথে, এখন মনে করা হচ্ছে যে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন এখন তাদের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে এবং ইসলামী মৌলবাদী দল জামায়াত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) মতো শক্তির হাতে চলে গেছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে অস্থিরতার কারণে সারাদেশে বিজিবি সেনা মোতায়েন করা হলেও ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফ সম্পূর্ণ সতর্ক রয়েছে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করা প্রাক্তন সেনাদের আত্মীয়-স্বজনদের সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থার অবসানের বিষয়ে আন্দোলনকারীরা অনড়। আন্দোলনকারীদের যুক্তি, এই ব্যবস্থার কারণে দেশের তরুণরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের উপকার করছেন।
No comments:
Post a Comment