দুপুরের খাবারের পর ঘি এবং গুড় খাওয়ার উপকারিতা
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৩ জুলাই: ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় দুপুরের খাবারের পর ঘি এবং গুড় খাওয়ার মধ্যে অনেকগুলি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে বলে মনে করা হয়।ঘি-তে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন উভয়ই থাকে,অনেক পুষ্টিগুণ থাকে,যা হজমশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।আজ আমরা দুপুরের খাবারের পর ঘি এবং গুড় খাওয়ার উপকারিতা বলব।
হজমশক্তি বাড়ায়:
ঘি পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং খাবারের শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে।গুড়ের মধ্যে উপস্থিত এনজাইমগুলি হজমে উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে:
গুড়ের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
শক্তির মাত্রা বাড়ায়:
গুড় প্রাকৃতিক চিনির একটি ভালো উৎস যা শক্তি জোগায়। এটি ক্লান্তি কমাতে এবং ঘনত্ব উন্নত করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
ঘি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে,যা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।গুড়ের মধ্যে উপস্থিত ফাইবারও আপনাকে পূর্ণতা অনুভব করায়,যা অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমায়।
ত্বকের জন্য ভালো:
গুড়ের রক্ত পরিশোধন করার গুণ রয়েছে,যা ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল করে।ঘি-তে উপস্থিত চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিনগুলি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং শুষ্কতা কমাতেও সাহায্য করে।
খাওয়ার পদ্ধতি:
এক চা চামচ ঘি নিয়ে গলিয়ে নিন।এক টুকরো গুড় নিন, চিবিয়ে নিন এবং ঘি মিশিয়ে নিন।
আপনি জলে গুড় গুলে এবং তারপরে ঘি মিশিয়ে পান করতে পারেন।
মনোযোগ দিন:
ডায়াবেটিস রোগীদের সীমিত পরিমাণে গুড় খাওয়া উচিৎ।
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অল্প পরিমাণে ঘি খাওয়া উচিৎ।
আপনার যদি কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তবে ঘি এবং গুড় খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment