কোলেস্টেরল কী খুব কমে যেতে পারে?
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৩ জুলাই: বেশিরভাগ মানুষ উচ্চ কোলেস্টেরল সম্পর্কে জানেন,কিন্তু আপনি কি কখনও কম কোলেস্টেরলের কথা শুনেছেন?আপনি জেনে অবাক হবেন যে স্বাভাবিকের চেয়ে কম কোলেস্টেরলও স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
কী কারণে কম কোলেস্টেরল হয়:
আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিক হওয়া উচিৎ।কোলেস্টেরল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকসহ অনেক গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।এমনকি যদি কোলেস্টেরল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম হয়ে যায়, তবুও এটি বিপজ্জনক হতে পারে।বর্তমান যুগে উচ্চ কোলেস্টেরল রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই সমস্যাটি সাধারণ হয়ে উঠেছে।সাধারণত কম কোলেস্টেরলের ঘটনা বিরল,তবে অনেক পরিস্থিতিতে কোলেস্টেরল স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে।কম কোলেস্টেরলের কথা না শুনে থাকলে জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যখন কোনও ব্যক্তির শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়ে যায়,তখন তাকে হাইপোলিপিডেমিয়া বলে।কম কোলেস্টেরলের মাত্রা বিরল ক্ষেত্রে দেখা যায়।কিন্তু যদি এর মাত্রা অত্যন্ত কম হয়ে যায়, তাহলে উদ্বেগ,বিষণ্নতা,মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।কম কোলেস্টেরলের সমস্যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আরও বিপজ্জনক,কারণ এটি গর্ভের সন্তানকেও প্রভাবিত করে।গর্ভাবস্থায় যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়,তাহলে এটি অকাল প্রসব এবং কম ওজনের শিশুর জন্ম দিতে পারে।
হাইপোলিপিডেমিয়ার অবস্থা কখন দেখা দেয়?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,আমাদের শরীরের মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০mg/dL-এর কম হওয়া উচিৎ।যদি রক্তে মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা ১৫০mg/dL হয়,তাহলে এটি আদর্শ বলে বিবেচিত হয়।শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) ১০০ mg/dL এর কম এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) ৫০mg/dL এর বেশি হওয়া উচিৎ।যখন রক্তে মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা ১২০ mg/dL-এর নিচে নেমে আসে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ৫০ mg/dL-এর নিচে পৌঁছায়,তখন এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপোলিপিডেমিয়া বা হাইপোকোলেস্টেরোলেমিয়া।এই অবস্থার অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।
কী কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে?
বিরল ব্যাধি এবং পারিবারিক ইতিহাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাইপোলিপিডেমিয়ার ঝুঁকি বেশি।অপুষ্টি,রক্তাল্পতা এবং শরীরে চর্বি শোষণের অভাবের কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম হয়ে যেতে পারে।থাইরয়েড সমস্যা এবং লিভারের রোগের কারণেও কোলেস্টেরলের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে।হেপাটাইটিস সি সংক্রমণ এবং গুরুতর অসুস্থতা বা আঘাতও হাইপোলিপিডেমিয়া হতে পারে।সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে এই সমস্যা সহজেই সেরে যায়।
No comments:
Post a Comment