তিন রাজ্য, ১৫ মৃত্যু! আতঙ্কের নতুন নাম চাঁদিপুরা ভাইরাস
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ জুলাই: চাঁদিপুরা ভাইরাসের তাণ্ডবে আতঙ্ক গুজরাটে। এখানকার আরাবলি জেলার মোটা কাঁথারিয়া গ্রামে চাঁদিপুরা ভাইরাসে চার বছরের এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পুনে স্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির রিপোর্ট থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। এখনও পর্যন্ত, দেশে চাঁদিপুরা ভাইরাসের ২৯ জন সন্দেহভাজন আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৫টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব ক্ষেত্রেই উপসর্গ একই রকম। তাই চাঁদিপুরা ভাইরাসের কারণে সব মৃত্যুর সম্ভাবনা মনে করা হচ্ছে।
চাঁদিপুরা ভাইরাস কি?
চাঁদিপুরায় ২৯ জন আক্রান্তর মধ্যে ২৬ জন গুজরাটে, ২ জন রাজস্থানে এবং একজন মধ্যপ্রদেশে পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি ১৫-র মধ্যে ১৩ টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গুজরাটে। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে একজন করে রোগী মারা গেছেন। এখনও অবধি, গুজরাটের সবরকাঁথা, আরাবলি, মহিসাগর, খেদা, মেহসানা, রাজকোট, সুরেন্দ্রনগর, আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর, পঞ্চমহল, জামনগর এবং মোরবি জেলা থেকে চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে।
চাঁদিপুরা ভাইরাস জ্বর সৃষ্টি করে। এর লক্ষণগুলি ফ্লুর মতো এবং এটি তীব্র এনসেফালাইটিস (মস্তিষ্কের প্রদাহ) সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসটি রেবডোভিরিডে (Rhabdoviridae) পরিবারের ভেসিকুলোভাইরাস জিনের সদস্য। এটি মশা এবং বালি মাছির মতো পোকামাকড় দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস খুবই বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। ২০০৩-২০০৪ সালে, অন্ধ্র প্রদেশ এবং গুজরাটে মৃত্যুর হার ৫৬-৭৫ শতাংশ দেখা গেছে।
চাঁদিপুরা নাম কীভাবে হল?
এই ভাইরাসটি প্রথম ১৯৬৫ সালে মহারাষ্ট্রের চাঁদিপুরায় শনাক্ত করা হয়েছিল। সেই থেকেই এই ভাইরাসটি চাঁদিপুরা নামে পরিচিতি লাভ করে। বেশিরভাগই ৯ মাস থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এই ভাইরাস বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রধান লক্ষণ হল জ্বর, বমি, ডায়রিয়া এবং মাথাব্যথা।
No comments:
Post a Comment