শিশু কোনও কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারলে সাবধান! হতে পারে এই রোগের সংকেত - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 24 July 2024

শিশু কোনও কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারলে সাবধান! হতে পারে এই রোগের সংকেত


শিশু কোনও কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারলে সাবধান! হতে পারে এই রোগের সংকেত 




প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ জুলাই: আপনার সন্তানও কি কোনও কাজে ধ্যান দিতে পারছে না? কোনও কাজ করার সময় কি সেটায় মনোযোগ দিতে পারছে না? যদি হ্যাঁ, তাহলে আপনার সতর্ক হওয়া উচিৎ। কারণ এগুলো এক ধরণের মানসিক রোগের সংকেত। এই সমস্যাটিকে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) বলা হয়। 


এ রোগে শিশুর মস্তিষ্ক ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না এবং সে কোনও কাজও ঠিকমতো করতে পারে না। শুরুতে এই সমস্যাটিকে উপেক্ষা করা পরবর্তীতে গুরুতর হয়ে ওঠে। চিকিৎসকরা বলছেন, শৈশবে মস্তিষ্কে আঘাত, জেনেটিক কারণে বা গর্ভাবস্থায় শিশুর মস্তিষ্কের ভুল বিকাশের কারণে এ রোগ হতে পারে।


 শিশুদের এডিএইচডি কোন রোগ?

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) অনুসারে, এডিএইচডি সমস্যা বেশিরভাগ প্রাক-স্কুল শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। কখনও কখনও কৈশোর এবং অল্প বয়সেও এটি ঘটতে পারে। মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, শিশুদের মধ্যে এডিএইচডি-এর উপসর্গ প্রথম দিকে দেখা দিতে শুরু করে। 


শিশুদের মধ্যে এডিএইচডি- এর লক্ষণ

 ১. এই রোগে আক্রান্ত শিশু নিজের মধ্যে হারিয়ে যায়।

 ২. শিশু কোনও কাজে আগ্রহী থাকে না।

 ৩. শিশু বারবার একই ভুল করে।

 ৪. শিশু হয় খুব বেশি কথা বলে বা সম্পূর্ণ নীরব থাকে।

 ৫. অন্য শিশুদের সঙ্গে সহজে বসবাস করতে সক্ষম হয় না.

 ৬. হঠাৎ রেগে যায়।

 ৭. কোনও কিছু মনে রাখতে অসুবিধা বোধ করা।


 শিশুদের মধ্যে এডিএইচডি- এর চিকিত্সা

শিশুদের যখন এই ধরণের সমস্যা হয়, তখন বাড়িতে চাপের পরিবেশ বিরাজ করে, যার কারণে এই রোগের লক্ষণ গুরুতর হতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিএইচডি-এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। শিশুদের কাউন্সেলিং এবং অন্যান্য উপায়ে এর উপসর্গ কমানো যেতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত কিছু শিশুকে ওষুধ দিয়েও চিকিৎসা দেওয়া হয়।


শিশুদের এডিএইচডি হলে কী করবেন?

 ১. শিশুদের বাইরের পরিবেশে নিয়ে যান।

 2. শিশুদের চা এবং কফি দেবেন না।

 ৩. খাবারে শুধুমাত্র প্রোটিন এবং ভিটামিন দিন।

 ৫. শিশুদের ওপর রাগ করা এড়িয়ে চলুন, তাদের বুঝিয়ে বলুন।

 ৫. শিশুদের জন্য রুটিন তৈরি করুন এবং সেগুলো অনুসরণ করান। 

. আর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad