'এটা দুর্ঘটনা নয়, খুন'- ৩ পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে আপ সরকারকে নিশানা বিজেপি-সহ স্বাতি মালিওয়ালের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ জুলাই: দিল্লীর ওল্ড রাজেন্দ্র নগরে শনিবার (২৭ জুলাই) আইএএস কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টের জমা জলে ডুবে তিন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। দিল্লী সরকার দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ম্যাজিস্ট্রিয়াল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃতদের শনাক্ত করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনা নিয়েই আপ পার্টিকে নিশানা করেছেন স্বাতি মালিওয়াল এবং বিজেপি। তিনি বলেন, 'রাজধানীতে বেসমেন্টে ডুবে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দায় কে নেবে?'
এই দুর্ঘটনা নিয়ে দিল্লী সরকারকে নিশানা করে স্বাতি মালিওয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "রাজধানীতে বেসমেন্টের জলে ডুবে তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর দায় কে নেবে? জানা গেছে, গত দশদিন ধরে শিক্ষার্থীরা ড্রেন পরিষ্কারের দাবী জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কীভাবে দুর্নীতি ছাড়া অবৈধ বেসমেন্ট চলে, কীভাবে এক্সট্রা ফ্লোর ফেলা যায়, কীভাবে টাকা খরচ না করে রাস্তা-নালা দখল করা যায়। এটা স্পষ্ট যে, কোনও নিরাপত্তা নিয়ম অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই, শুধু টাকা দিন এবং কাজ হয়ে যায়। প্রতিদিন এসি রুমে বসে গুরুত্বপূর্ণ প্রেস কনফারেন্স করতে থাকুন। বাস্তবে কাজ করতে কেউ প্রস্তুত নয়। কয়েকদিন আগে প্যাটেল নগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু থেকেও কিছু শেখেননি?"
এই ঘটনা সম্পর্কে, অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'রাজেন্দ্র নগরের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু এড়ানো যেত যদি আপ-নিয়ন্ত্রিত এমসিডি ড্রেনগুলি পরিষ্কার করত, যা বর্ষার আগে একটি বাধ্যতামূলক অভ্যাস। এটা প্রশাসনের বড় ব্যর্থতা। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আপ নেতাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অবহেলার মামলা দায়ের করা উচিৎ।'
দিল্লী বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বলেছেন, "এখানে যা ঘটেছে তা দুর্ঘটনা নয় বরং খুন। বেসমেন্টে কীভাবে লাইব্রেরি চলছিল? আগে যে তদন্ত করা হয়েছিল তার কী হয়েছিল? এই শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ। অনেক ঘন্টা হয়েছে এই ঘটনা ঘটছে কিন্তু দিল্লীর মন্ত্রীরা সেখানে (ঘটনাস্থল) যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। আপনারা (দিল্লী সরকার) এই পুরো ঘটনায় সামিল। লোকেরা ক্রমাগত ড্রেন পরিষ্কার করতে বলছেন, আপনারা কী করছিলেন? আপ সরকার সারা দিল্লী তছনছ করে দিয়েছে। তাঁদের কী ভুল ছিল, যারা পুরো দেশ থেকে পড়ার জন্য দিল্লী আসেন? আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ।"
কোচিং ইনস্টিটিউটের বেসমেন্টে জল জমে যাওয়া ও এই কারণে তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দিল্লী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এই সময় অতিরিক্ত ডিসিপি শচীন শর্মা বিকোভকারী পড়ুয়াদের বলেন, "তিন জন মারা গেছে। কেন আমরা কিছু গোপন করব? আমরা আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, আইনিভাবে যা সম্ভব আমরা করব। তদন্ত চলছে।"
দুর্ঘটনায় মৃত পড়ুয়াদের শনাক্ত করা গিয়েছে। মৃতদের বয়স ২৫ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতদের নাম হল তানিয়া সোনি (২৫), শ্রেয়া যাদব (২৫), নেভিন ডালভিন (২৮)৷ তথ্য অনুযায়ী, এই পড়ুয়ারা প্রিলিমের পেপারে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং মেইনসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
No comments:
Post a Comment