ডেঙ্গু বনাম ম্যালেরিয়া - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 7 July 2024

ডেঙ্গু বনাম ম্যালেরিয়া


ডেঙ্গু বনাম ম্যালেরিয়া

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৭ জুলাই: ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া উভয়ই মশা দ্বারা ছড়ানো রোগ কিন্তু এগুলো এক নয়।ডেঙ্গু একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা শরীরে ভাইরাস প্রবেশের কারণে ঘটে,যেখানে ম্যালেরিয়া একটি পরজীবী সংক্রমণ যা প্রোটোজোয়া দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে।তবে তাদের লক্ষণ,প্রতিরোধ এবং প্রতিকার একে অপরের থেকে আলাদা।

ডেঙ্গু:

ডেঙ্গু এক ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন যা মশার কামড়ে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয় বর্ষাকালে তা ছড়ায়।

লক্ষণ:

মাত্রাতিরিক্ত জ্বর।

মাথাব্যথা।

চোখের পিছনে ব্যথা।

পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা।

ক্লান্তি।

বমি এবং বমি-বমি ভাব।

ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি।

গুরুতর ক্ষেত্রে প্লেটলেট সংখ্যা হ্রাস।

প্রতিরোধ:

মশা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মশারি ব্যবহার করুন।

মশা তাড়ানোর ধূপকাঠি বা কয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরের চারপাশে জল জমতে দেবেন না।

এমন পোশাক পরুন যাতে পুরো শরীর ঢেকে যায়।

ঘরের জানালা ও দরজায় জাল লাগাতে হবে যাতে মশা ঘরে না ঢুকতে পারে।

কী করবেন:

ডেঙ্গু হলে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন।

প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।

জ্বর ও ব্যথার জন্য ডাক্তারের নির্দেশিত প্যারাসিটামল ও ওষুধ সময়মতো খান।

গুরুতর ক্ষেত্রে হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে,কোনও অসতর্কতা ছাড়াই আপনার নিকটস্থ হাসপাতালে যান।

ম্যালেরিয়া:

ম্যালেরিয়া হল প্লাজমোডিয়াম প্যারাসাইট দ্বারা সৃষ্ট একটি প্রোটোজোয়া রোগ,যা অ্যানোফিলিস মশা দ্বারা মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়।সংক্রামিত সূঁচ এবং খারাপ রক্তের সংক্রমণের মাধ্যমেও ম্যালেরিয়া ছড়াতে পারে।যেসব হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় না,সেখানে এই ধরনের সমস্যার ঝুঁকি বেশি।

লক্ষণ:

ঠান্ডা এবং কাঁপুনি।

উচ্চ জ্বর।

ঘাম।

মাথাব্যথা।

পেশী ব্যথা।

ক্লান্ত এবং অলস বোধ।

বমি-বমি ভাব এবং বমি-বমি ভাবের অভিযোগ।

পেট ব্যাথা এবং ডায়রিয়া সমস্যা।

প্রতিরোধ:

মশা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মশারি ব্যবহার করুন।

মশা তাড়ানোর রাসায়নিক ব্যবহার করুন।

মশাবাহিত স্থান এবং ময়লা থেকে দূরে থাকুন।

ম্যালেরিয়া আক্রান্ত এলাকায় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।

কী করবেন:

ম্যালেরিয়া নিশ্চিত করতে আপনার নিকটস্থ হাসপাতালে রক্ত ​​পরীক্ষা করান।

ডাক্তারের দেওয়া ম্যালেরিয়ার ওষুধ নিয়মিত ও সময়মতো খান।পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।

প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।

গুরুতর ক্ষেত্রে হাসপাতালের চিকিৎসাও প্রয়োজন।

এসব ব্যবস্থা ও প্রতিরোধ কৌশল অবলম্বন করে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া এড়ানো যায়।কোনও গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান।মনে রাখবেন যে আপনি যদি ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলিকে বিবেচনায় না নেন,তবে এগুলি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।তাই সময়মতো এই জাতীয় লক্ষণগুলি শনাক্ত করা এবং চিকিৎসা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad