সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে?
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২০ জুলাই:
সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন সবাই সরব। অপ্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত । কেউ সময় কাটাতে আবার কেউ প্রয়োজনের খাতিরে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যেমন-ফেসবুক,টুইটার,টিকটক,কিংবা ইনস্টাগ্রামে বিচরণ করেন। নিজেদের জীবনযাপন,কাজকর্মসহ ট্রাভেল আপডেট ফ্রেন্ডস ও ফলোয়ারদেরকে জানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত পোস্ট করেন কমবেশি সবাই। এটিই এখন সবার অভ্যাস ও শখে পরিণত হয়েছে।
২০২৩সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী,গত বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৪.৯ বিলিয়ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন। সেই হিসাব অনুযায়ী,গড়ে একজন মানুষ প্রতিদিন ১৪৫ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করেছেন।
যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক উপকারিতা আছে।বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বন্ধু ও পরিজনদের সঙ্গে যুক্ত হতে ও যোগাযোগ রাখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব অনেক।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কিছু অপকারিতাও আছে,যা সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণায় দেখা গেছে,অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে। আসুন জেনে নিন সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে?
ফিল্টারের ব্যবহার:
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুন্দর সুন্দর ছবি বা ভিডিও পোস্ট করার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই আছে। আর সেসব ছবি-ভিডিওতে নিজেকে সুন্দর থেকে আরও সুন্দর করে তুলতে অনেকেই ফিল্টারের ব্যবহার করেন।যেমন-স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম সবচেয়ে বেশি ফিল্টার ব্যবহৃত ছবি বা ভিডিও পোস্ট করা হয়।
এক্ষেত্রে সহজেই শারীরিক চেহারা পরিবর্তন করা ও চেহারার খুঁতগুলো লুকানো যায়। ফলে ছবি বা ভিডিওতে নিজেকে সুন্দর দেখালেও,বাস্তবের চেহারা নিয়ে অনেকের মধ্যেই হীনমন্যতার সৃষ্টি হয়,যা অনেকের ক্ষেত্রেই মানসিক বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে।
লাইক-কমেন্টসে ঘাটতি:
বিশেষজ্ঞদের মতে,সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে,যা ভালো অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত। যখন আমরা কিছু পোস্ট করি,তখন সেখানে বেশি লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার দেখলে ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। যা আমাদেরকে খুশি করে তোলে।
তবে যখন কেউ তার পোস্টে কাঙ্ক্ষিত লাইক,কমেন্ট পান না তখন তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস কমতে শুরু করে ও কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে,যা দুশ্চিন্তার কারণ। এর থেকেই বাড়ে হতাশা ও উদ্বেগ।
সাইবার বুলিং:
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বেড়েছে সাইবার বুলিংয়ের চর্চা। পোস্ট ভালো হোক বা খারাপ,বুলিং করতে হয়তো অনেকেই বসে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২০২০সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় জানা গেছে,ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ৪৪ শতাংশই নিয়মিত হয়রানির শিকার হন।
No comments:
Post a Comment