হাই ব্লাডপ্রেসার কী চোখের প্রেসার বাড়ায়?
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩০ জুলাই: অনেকে মনে করেন উচ্চ রক্তচাপের কারণেও চোখের প্রেসার বাড়ে।উচ্চ রক্তচাপ কী সত্যিই ডায়াবেটিসের মতো চোখকে প্রভাবিত করে?আসুন জেনে নেই চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে।
উচ্চ রক্তচাপ হার্ট এবং মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়।অনেকে এটাও বিশ্বাস করেন যে উচ্চ রক্তচাপের কারণে চোখের প্রেসার বাড়তে পারে,যা গ্লুকোমার মতো বিপজ্জনক রোগের কারণ হতে পারে।চিকিৎসকদের মতে,চোখের স্বাভাবিক প্রেসার যদি ১০ থেকে ২০ mmHg-এর মধ্যে থাকে, তাহলে তা স্বাভাবিক বলে ধরা হয়।এই প্রেসার খুব বেশি হলে অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে এবং ব্যক্তি স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে।তবে চিকিৎসার মাধ্যমে চোখের প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।এখন প্রশ্ন হল,উচ্চ রক্তচাপের কারণে কী সত্যিই চোখের প্রেসার বাড়তে পারে?
ডাঃ তুষার গ্রোভার,মেডিকেল ডিরেক্টর এবং চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ,ভিশন আই সেন্টার,সিরি ফোর্ট,নিউ দিল্লি,বলেছেন যে- চোখের প্রেসারকে চিকিৎসা ভাষায় বলা হয় ইন্ট্রাওকুলার প্রেসার(আইওপি)।যদি একজন ব্যক্তির চোখের প্রেসার বেড়ে যায়,তাহলে অপটিক স্নায়ুর ক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যায়।সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর ঝুঁকি বাড়ে।যদি আমরা রক্তচাপ এবং চোখের প্রেসারের মধ্যে সংযোগ সম্পর্কে কথা বলি,তবে উভয়ের মধ্যে সরাসরি কোনও যোগসূত্র নেই।তবে কিছু গবেষণা নিশ্চিতভাবে প্রকাশ করেছে যে,অতিরিক্ত রক্তচাপ গ্লুকোমার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ডাক্তার গ্রোভার জানিয়েছেন,অনেক কারণেই চোখের প্রেসার বাড়তে পারে।যদি খুব বেশি তরল চোখে প্রবেশ করে বা তরলের পরিমাণ কমে যায় তবে এটি চোখের প্রেসার বাড়াতে পারে।চোখের কেন্দ্রীয় অংশ ফুলে যাওয়া এবং পিগমেন্ট ডিসপারসন সিন্ড্রোমের কারণেও চোখের প্রেসার বাড়তে পারে। চোখের ভিতরে টিউমার,বড় ছানি, আঘাত বা অস্ত্রোপচারের কারণে চোখে আঘাত এবং কিছু ওষুধের কারণেও চোখের প্রেসার বাড়তে পারে।চোখের প্রেসার কখন বাড়ে মানুষ বুঝতে পারে না,কিন্তু অপটিক নার্ভ ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতি ৬ মাস অন্তর মানুষের চোখের প্রেসার পরীক্ষা করানো উচিৎ।
ডাক্তার তুষার বলেন,চোখের প্রেসার বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ও চোখের ড্রপ দেওয়া হয়।যদি কারও বেশি সমস্যা হয়,তবে সেই অবস্থায় লেজার সার্জারির মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চোখের প্রেসার যাতে বাড়তে না পারে সেজন্য মানুষের চোখের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ।পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং চোখের ব্যায়াম করা উচিৎ।সময়ে সময়ে চোখের প্রেসার পরীক্ষা করা উচিৎ এবং যদি এটি বৃদ্ধি পায়,অবিলম্বে চিকিৎসা করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment