খুবই বিপজ্জনক এই ক্যান্সার! আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলারা, মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২২ জুলাই: মহিলাদের মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সার (সার্ভাইকাল ক্যান্সার)-এর ঝুঁকি বাড়ছে। গুজরাট ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি ৭ মিনিটে একজন মহিলা এই ক্যান্সারের (সার্ভাইকাল ক্যান্সার) শিকার হচ্ছেন। এই ক্যান্সারে একটু অসাবধানতাও মারাত্মক হতে পারে। জরায়ুমুখের কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির কারণে সার্ভিকাল ক্যান্সার হয়। এটি ভারতে মহিলাদের মধ্যে পাওয়া দ্বিতীয় সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার।
ভারতে সার্ভাইকাল ক্যান্সার বৃদ্ধির কারণ
১. সার্ভাইকাল ক্যান্সার বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
২. এইচআইভি, যৌনরোগ
৩. একসাথে অনেক সন্তানের জন্ম দেওয়া
৪. আর্লি প্রেগনেন্সি
৫. হরমোনাল কন্ট্রাসেপটিভ ব্যবহার
৬. ধূমপান
ভারতে সার্ভিকাল ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ১,২৩,০০০ মহিলা জরায়ুর ক্যান্সারের শিকার, যার মধ্যে ৮০ হাজার মহিলার মৃত্যু হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জরায়ু মুখের ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যায় ভারত বিশ্বের ৫ম দেশ। ভারতেই এর ফলে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
সার্ভাইকাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কাদের বেশি?
সার্ভাইকাল ক্যান্সার হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দ্বারা ক্রমাগত সংক্রমণের কারণে হয়। এইচআইভি সংক্রমিত মহিলাদের মধ্যে জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬ গুণ বেশি। সার্ভাইকাল ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে এবং নিয়মিত চেকআপ করালে এই রোগের চিকিৎসা করা যায়। এছাড়া সময়মতো টিকা দেওয়ার মাধ্যমেও মেয়েরা এর বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
সার্ভাইকাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কখন বাড়ে?
১. পিরিয়ডের সময় অনিয়মিত রক্তপাত এবং অতিরিক্ত রক্তপাত বা সহবাসের পরে রক্তপাত উপেক্ষা করা।
২. সহবাসের সময় ব্যথা উপেক্ষা করা।
৩. শরীরের ওজন হঠাৎ বৃদ্ধি বা হ্রাস।
৪. প্রস্রাব করার সময় ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং জ্বালাপোড়া করা।
সার্ভাইকাল ক্যান্সার প্রতিরোধের ব্যবস্থা
নিয়মিত সার্ভাইকাল ক্যান্সার স্ক্রীনিং প্রাক-ক্যান্সারজনিত পরিবর্তন বা প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে, যার ফলে সময়মত চিকিৎসা করা যায়। পরীক্ষার পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে প্যাপ টেস্ট (প্যাপ স্মিয়ার), যা অস্বাভাবিক সার্ভাইকাল ক্যান্সার কোষ সনাক্ত করে এবং এইচপিভি পরীক্ষা, যা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এইচপিভি স্ট্রেনের উপস্থিতি শনাক্ত করে।
উপরে উল্লেখিত যে কোনও লক্ষণ দেখলেই অবহেলা নয়, চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ করুন।
No comments:
Post a Comment