কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 29 July 2024

কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল

 


কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল 




কলকাতা: কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী স্লোগান দেওয়া, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম করে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এর কিছু ভিডিও সামনে এসেছে। আর তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করল বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা। 


বাংলাদেশের মাটিতে ভারত বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে কলকাতা স্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাস কার্যালয়ে সোমবার গিয়ে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হল ওই প্রতিনিধি দলের তরফে। এর পাশাপাশি অভিযোগের স্বপক্ষে বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপিংসও তুলে দেওয়া হয় ডেপুটি হাইকমিশনারের হাতে। 


সোমবার বিকেলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ২০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল দেখা করে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস সহ মিশনের শীর্ষ আধিকারিকদের সাথে। প্রতিনিধিন দলে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, সুব্রত মৈত্র সহ দলের বিধায়করা।


শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'সম্প্রতি যে আন্দোলন হয়েছে সেটা ভিতরের, ওদের আভ্যন্তরীণ ইস্যু। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। আমরা নাক গলাতে চাই না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নই যে, তিনি শরণার্থীদের বলছেন সিএএ করতে দেব না, আবার রোহিঙ্গাদের জন্য ঘর,বাড়ি সবকিছু খুলে রেখেছেন। বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু সেদেশে যে ধরণের স্লোগান দেওয়া হয়েছে, যেভাবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম করে অপমান করা হয়েছে, সেটা প্রত্যেকটা ভারতীয়র অপমান। এটা কোনও ভাবেই আমরা বরদাস্ত করব না। ভারত আমাদের মা। ভারতমাতার অপমান মানে আমাদের অপমান। হিন্দুদের সঞ্জীবনী মন্ত্র 'হরে কৃষ্ণ হরে রাম' নিয়ে কুরুচিকর স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়গুলি আমরা সবাই দেখেছি এবং তা নিয়ে আমরা সকলেই উদ্বিগ্ন।' 


শুভেন্দু এও বলেন, 'ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে দোকানে দোকানে ঢুকে রাজাকার, জামাত, হেফাজতের লোকেরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করার ডাক দিচ্ছে। কিন্তু ভারত থেকে পেঁয়াজ না গেলে সেদেশে ৩০০ টাকা দাম হবে। এসব কেন করা হচ্ছে?' 


শুভেন্দু বলেন 'আমরা মিশন কর্তৃপক্ষকে কয়েকটি সিডি দিয়ে গেছি। তাদের বলেছি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আওতা আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা এই জিনিস বরদাস্ত করব না।' 


তবে, কলকাতার বেকবাগানে অবস্থিত বাংলাদেশ  উপ-দূতাবাস কার্যালয় অভিযানকে কেন্দ্র করে এদিন পুলিশের সাথে বিজেপি প্রতিনিধি দলের বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রবেশের ঠিক আগেই পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় প্রতিনিধি দলকে। আর পুলিশের ব্যারিকেড উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগোতে গেলেই এক প্রকার ধস্তাধস্তি শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এ সময় মমতা পুলিশের বিরুদ্ধে 'হায় হায়' স্লোগান দিতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। 


পরে দূতাবাসের তরফে প্রধান সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান বাইরে এসে শুভেন্দু অধিকারী সহ প্রতিনিধি দলের বিধায়কদের ভিতরে আমন্ত্রণ জানান। 


এ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আমরা গত শনিবার ডেপুটি হাইকমিশনারকে মেইল করেছিলাম। তিনি আমাদের মেইলে সাড়া দেন এবং বিকেল পাঁচটায় উপহাইকমিশনে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এই রাস্তায় সাধারণত ব্যারিকেড থাকে না কিন্তু মমতার পুলিশ প্রথমে আমাদের আটকায়। কেন আটকানো হচ্ছে তা মমতার পুলিশই জানে।' তাঁর অভিযোগ 'আমরা জঙ্গলের রাজত্বে বসবাস করি।' আইনের মধ্যে দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্তাদের শিক্ষা দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন শুভেন্দু অধিকারী।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad