গর্ভাবস্থায় স-হবাস কী শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে? জেনে নিন কী বলছেন চিকিৎসকরা
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৯ জুলাই: কিছু জিনিস আছে, যেগুলো গর্ভাবস্থায় খেয়াল রাখা উচিৎ। যেমন গর্ভবতী মহিলার কী খাওয়া উচিৎ এবং কী নয়? কোন খাবার শিশুর উপকার করবে আর কোন খাবার শিশুর ক্ষতি করবে। ভ্রমণ করা উচিৎ কী নয়। এই সমস্ত কিছু ছাড়াও স্বামী-স্ত্রীকে একটি বিশেষ উপদেশ দেওয়া হয় যে, এই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ৯ মাস পর্যন্ত তাদের শারীরিক সম্পর্ক করা উচিৎ নয়। কারণ বলা হয়ে থাকে, এই সময় সম্পর্ক করলে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এই কথা কতটা ঠিক? আসুন এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দক্ষিণ দিল্লীর বিখ্যাত চিকিৎসক ডা. অর্চনা নিরুলা এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, গর্ভাবস্থায় সেক্স করাকে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয় কারণ এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় স্পন্টেনিয়াস অ্যাবরশন
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক দিনগুলিতে গর্ভপাতের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে গর্ভপাতের অনেক কারণ থাকতে পারে। ডাক্তার আরও বলেন, গর্ভাবস্থা সুস্থ থাকলে প্রথম তিন মাস সহবাস করতে পারেন। এই সময়ে, আপনি ব্যায়াম এবং যোগব্যায়ামও করতে পারেন যাতে গর্ভপাত না হয়।
তবে, গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সহবাস করা খুব বিপজ্জনক হতে পারে। তাই স্বামী-স্ত্রীর সহবাস এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ তা সন্তান ও মা উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। ডাক্তাররা স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছেন যে চতুর্থ মাসে যৌন মিলন শিশুর জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। এর পাশাপাশি যদি কোনও মহিলার বারবার গর্ভপাত হয় তবে তাঁর বিশ্রাম নেওয়া উচিৎ। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, ভারী জিনিস তোলা বা ভ্রমণ এই সময় একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিৎ।
মনে রাখবেন- গর্ভাবস্থার এই সময় যেমন সুন্দর, তেমন খুব কঠিনও বটে। একটু ভুলের জন্য গুনতে হতে পারে অনেক বড় মাশুল। তাই সর্বদা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। এর পাশাপাশি কোনও রকম টোটকা বা পদ্ধতি প্রয়োগের আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
No comments:
Post a Comment