গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা কী আদৌ উচিৎ?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৯ জুলাই: ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী একথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা নিরাপদ কি না, এই প্রশ্নটি প্রায়ই উঠে আসে। গর্ভাবস্থায় সঠিকভাবে এবং ডাক্তারের পরামর্শে ব্যায়াম করা উপকারী হতে পারে। এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক কোন ব্যায়াম করা উচিৎ, সেগুলোর উপকারিতা কি এবং কোন পরিস্থিতিতে ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলা উচিৎ।
প্রথমত এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যে কোনও ব্যায়াম শুরু করুন, যাতে মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ থাকে। এবারে আসুন জেনে নিই এই সময় ব্যায়ামের উপকারিতা সম্পর্কে।
ব্যায়ামের উপকারিতা
মানসিক চাপ কমায়: ব্যায়াম মানসিক চাপ কমায় এবং মেজাজ ভালো রাখে।
শারীরিক সুস্থতা: ব্যায়াম শরীরকে ফিট এবং সক্রিয় রাখে, যা ডেলিভারি সহজ করতে পারে।
পিঠের ব্যথায় উপশম: নিয়মিত ব্যায়াম করলে কোমর ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। ব্যায়াম পেশী শক্তিশালী করে এবং শরীরের নমনীয়তা বাড়ায়, যা পিঠের ব্যথা কমায় এবং আরামের অনুভূতি দেয়।
এনার্জি লেভেল বাড়ে: ব্যায়াম করলে এনার্জি লেভেল বাড়ে এবং ক্লান্তি কমে।
কোন ব্যায়াম করতে হবে?
হাঁটা: হাঁটা সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ ব্যায়াম। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা উপকারী।
গর্ভাবস্থা যোগ: যোগব্যায়ামের বিশেষ ভঙ্গি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী। এগুলো মা ও শিশু উভয়ের জন্যই ভালো।
সাঁতার: সাঁতার পুরো শরীরের পেশী শক্তিশালী করে এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ।
কখন ব্যায়াম করবেন না?
রক্তপাত: রক্তপাত হলে ব্যায়াম করা উচিৎ নয়।
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ব্যায়াম পরিহার করা উচিৎ।
চিকিৎসা শর্ত: যে কোন চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন
প্রতিটি মহিলার গর্ভাবস্থা আলাদা, তাই কোনও ব্যায়াম শুরু করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার স্বাস্থ্য এবং গর্ভাবস্থার অবস্থা দেখে ডাক্তার সঠিক পরামর্শ দেবেন। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন ব্যায়াম আপনার এবং আপনার সন্তানের জন্য নিরাপদ।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি বিপজ্জনক হতে পারে। ডাক্তারের নির্দেশনা নিয়ে, আপনি সঠিক ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন, যা আপনার এবং আপনার সন্তানের উপকারে আসবে এবং আপনারা দুজনেই সুস্থ থাকবেন।
No comments:
Post a Comment