জেনে নিন এন্ডোমেট্রিওসিস রোগ সম্পর্কে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 26 July 2024

জেনে নিন এন্ডোমেট্রিওসিস রোগ সম্পর্কে


জেনে নিন এন্ডোমেট্রিওসিস রোগ সম্পর্কে

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৬ জুলাই: মা হওয়া প্রতিটি মহিলার জীবনের সবচেয়ে বড় সুখ।এটি এমন একটি অভিজ্ঞতা যা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, অনেক মহিলা একটি সমস্যার সাথে লড়াই করে,যার কারণে তারা এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও একজন মহিলা গর্ভধারণ করতে পারেন না।এর প্রধান কারণ হল এন্ডোমেট্রিওসিস রোগ।এই রোগটি ধীরে ধীরে মহিলাদের মধ্যে সাধারণ হয়ে উঠছে, তবে খুব কম মানুষই এটি সম্পর্কে জানেন।তাহলে আসুন জেনে নেই এন্ডোমেট্রিওসিস কী,এর লক্ষণ,কারণ ও চিকিৎসা।

এন্ডোমেট্রিওসিস কী?

এন্ডোমেট্রিওসিস এমন একটি রোগ যেখানে জরায়ুর আস্তরণ (এন্ডোমেট্রিয়াম)জরায়ুর বাইরে বাড়তে থাকে।এই স্তরটি সাধারণত ডিম্বাশয়,ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং পেটের অন্যান্য অংশে বিকাশ করতে পারে।এর ফলে ওই জায়গায় ফোলাভাব ও ব্যথা হয়।মহিলাদের পিরিয়ড হলে এই স্তর ভেঙ্গে রক্তের আকারে বেরিয়ে আসে।কিন্তু এন্ডোমেট্রিওসিসের ক্ষেত্রে,এই স্তরটি ভিতরে থাকে এবং আশেপাশের অঙ্গগুলির উপর চাপ দেয়।এর ফলে তীব্র ব্যথা,ভারী মাসিক এবং কখনও কখনও বন্ধ্যাত্বও হতে পারে।

লক্ষণ -

পেট ও পিঠে ব্যথা: 

পিরিয়ডের সময় ও আগে পেটে ও পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।

ভারী পিরিয়ড: 

পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।

বন্ধ্যাত্ব: 

দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও গর্ভধারণ করতে ব্যর্থ হওয়া।

ক্লান্তি ও দুর্বলতা: 

সারাক্ষণ ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করা।

প্রস্রাব এবং মলত্যাগে অসুবিধা: 

প্রস্রাব এবং মলত্যাগের সময় ব্যথা এবং অস্বস্তি।

কারণ -

এন্ডোমেট্রিওসিসের সঠিক কারণগুলি এখনও জানা যায়নি, তবে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: 

ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্য।

পারিবারিক ইতিহাস: 

যদি কারও পরিবারে এই রোগটি আগে থেকেই থাকে,তাহলে সেও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া: 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার কারণেও এই রোগ হতে পারে।

অস্ত্রোপচারের পরে: 

কিছু অস্ত্রোপচারের পরেও এই সমস্যা হতে পারে।

চিকিৎসা -

এন্ডোমেট্রিওসিস সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায় না,তবে এর লক্ষণগুলি হ্রাস করা যেতে পারে।

ওষুধ: 

ব্যথা এবং ফোলা কমাতে ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।

হরমোনাল থেরাপি: 

হরমোনের মাত্রা ভারসাম্য রাখার জন্য থেরাপি দেওয়া যেতে পারে।

সার্জারি: 

গুরুতর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

জীবনধারা পরিবর্তন: 

নিয়মিত ব্যায়াম,সুষম খাদ্য এবং চাপ কমানো সাহায্য করতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad