জানুন ডায়েট করেও কেন কমে না ওজন
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৫ জুলাই:
ওজন কমাতে অনেকেই বিভিন্ন ডায়েট অনুসরণ করেন। দেখা যায় প্রথমদিকে ১-২ কেজি ওজন কমলেও তা আবার ধরে রাখা দায়। অতিরিক্ত ক্ষুধা কিংবা বিভিন্ন খাবারের প্রলোভনে অনেকেই সঠিক ডায়েট অনুসরণ করতে পারেন না।সেক্ষেত্রে ওজন কমার চেয়ে আবার তা বেড়ে যেতে থাকে।
ডায়েট শুরু করলে ওজন কিছুটা কমলেও আবার মনমতো খাবার খেলে ওজন বাড়ে। ফলে হতাশ হয়ে ডায়েট বন্ধ করে দেন কেউ কেউ।দুর্ভাগ্যবশত এই চক্র স্থূলকায় ব্যক্তিদের ওজন কমানোর যাত্রায় একাধিকবার ঘটে।যা চরম হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ বিষয়ে ব্যারিয়াট্রিক ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন ডা.অপর্ণা গোভিল ভাস্কর জানিয়েছেন ঠিক কী কী কারণে অনেকের ক্ষেত্রেই ডায়েট মানলে ওজন সহজে কমে না:
পিত্ত অ্যাসিডের মাত্রা দুর্বল:
পিত্ত অ্যাসিডগুলো গ্লুকোজ ও শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করে। অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের পাশাপাশি,তারা জিএলপি ১ সক্রিয় করতেও সাহায্য করে।স্থূলতার রোগীদের মধ্যে,সঞ্চালনকারী পিত্ত অ্যাসিডের মাত্রা দুর্বল হয়।
মিষ্টি খাবার খাওয়ায়
স্থূলকায় ব্যক্তিদের মিষ্টি স্বাদের প্রতি কম সংবেদনশীলতা থাকে।একই স্বাদের উপলব্ধি পেতে তারা অনেক বেশি মিষ্টি খেতে পারে। শক্তির ভারসাম্য স্বাদ ও গন্ধের সংকেতের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ মিথস্ক্রিয়া আছে।
জেনিটিক্স সমস্যার কারণে:
গবেষণায় দেখা গেছে,প্রায় ৭০শতাংশ স্থূলতার জন্য জেনেটিক্স দায়ী। স্থূলতা মনোজনিক,সিন্ড্রোমিক বা পলিজেনিক হতে পারে। পলিজেনিক স্থূলতা সবচেয়ে সাধারণ।
এই তত্ত্ব বলে যে মানবদেহ একটি পছন্দের সীমার মধ্যে তার ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করে। যতবারই আমরা ওজন কমানোর প্রবণতা করি,শরীর কিন্তু নির্দিষ্ট ওজনে ফিরে আসার প্রবণতা রাখে।
স্থূলতা সব সময় স্ব-প্ররোচিত নয়। ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে স্থূলতার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি অন্য যে কোনো রোগের মতোই একটি রোগ। এর কার্যকর ফলাফল পেতে পদ্ধতিগতভাবে ও পর্যায় অনুসারে চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment