মৃত ইউক্রেনীয় সৈনিকদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা হচ্ছে, যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 26 July 2024

মৃত ইউক্রেনীয় সৈনিকদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা হচ্ছে, যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ


 মৃত ইউক্রেনীয় সৈনিকদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা হচ্ছে, যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ




প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৬ জুলাই: মৃত সৈনিকদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চুরি করছে এবং সেগুলো বিক্রি করছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দী এক সৈনিকের স্ত্রী। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের কাছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের হাতে আটক সৈনিকদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য হস্তক্ষেপের আবেদন করেছেন। রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের ঘোষণা করেছিল। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে।


তুরস্কের আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত বৈঠক চলাকালীন লারিসা সালায়েভা এসব অভিযোগ করেন। বৈঠকে যুদ্ধবন্দীদের পরিবারের প্রতিনিধি এবং তুরস্কে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভেসিল বোডনার উপস্থিত ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সালায়েভা বলেছেন, 'আজ এটা পরিষ্কার যে আমরা সেই মানুষের মরদেহ পেয়েছি, যাঁরা বন্দি অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। আমরা শুধু এমন মৃতদেহ খুঁজে পাইনি যেগুলোকে নির্যাতন করা হয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত এমন দেহও পাওয়া গেছে যেগুলোর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই।


প্রতিবেদন অনুযায়ী, সালায়েভাও বিশ্বাস করেন যে রাশিয়ায় অঙ্গ প্রত্যারোপণের কালো বাজার চলছে। তিনি বলেন, "এটি এই কথা নিশ্চিত করে যে, রাশিয়ান ফেডারেশনে অঙ্গ প্রত্যারোপণের কালো বাজার চলছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের যুদ্ধবন্দীদের সাথে এটি ঘটছে। এমতাবস্থায়, আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের সারা বিশ্বের সাথে এটি নিয়ে কথা বলতে হবে, যাতে এই অপরাধ বন্ধ করা যায়।"


মনে করা হচ্ছে যে, রাশিয়ার হেফাজতে ১০ হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয় রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ান সূত্রগুলো অঙ্গ নিখোঁজের দাবী অস্বীকার করেছে। ডেইলি মেইলের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এই ভুয়ো দাবী ইউক্রেনের নাগরিকদের মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্বেষের নতুন ঢেউ তৈরি করার চেষ্টা...।' রাশিয়ার বিরুদ্ধে জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad