অশান্ত বাংলাদেশ! প্রভাব পেট্রাপোল সীমান্তের অর্থনীতিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২২ জুলাই: আন্দোলনের জেরে অশান্ত বাংলাদেশ। বন্ধ গণপরিবহন। আর এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ল এশিয়ার বৃহত্তম ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত বন্দরে। সীমান্তে যাত্রী সমাগম না হওয়ায় ধুঁকছে বন্দরের গাড়িচালক, ব্যবসায়ী থেকে মুটে-মজুর সহ মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রগুলি। পাশাপাশি বাংলাদেশের ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় শনিবার থেকে রপ্তানি বন্ধ। রবিবার সকাল থেকে আমদানি বন্ধ না হলেও কোনও পণ্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেনি। ফলত কর্মহীন হয়ে সমস্যায় পড়েছেন ট্রাক চালক খালাসি থেকে মুটে মজুরা। এক্সপোর্ট ইমপোর্ট বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে সীমান্তের ব্যবসায়ীরা।
সূত্রে জানা গিয়েছে, পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দৈনিক ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা সহ একাধিক প্রয়োজনে বাংলাদেশিরা দৈনিক ভারতে আসেন। পণ্য নিয়ে কয়েকশো ট্রাক আমদানি রপ্তানি হয় এই বন্দর দিয়ে, যার ওপর নির্ভর করে বন্দরে কয়েকশো মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র রয়েছে। রয়েছে হোটেল সহ প্রসাধনী দ্রব্যের দোকান।
পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার প্রায় বন্ধের মুখে। সে কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ী থেকে গাড়ি চালক, কুলিরা। বেশিরভাগ মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র বন্ধ। দুই একটা খোলা থাকলেও সেখানে ক্রেতা নেই বললেই চলে। হাতেগোনা দুই একজন বাংলাদেশী যাত্রীদের দেশে ফিরতে দেখা গেল এদিন।
প্রসঙ্গত, কোটা আন্দোলনের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। এই আবহে সম্প্রতি, বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মোট সাত শতাংশ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য। বাকি দুই শতাংশ থাকবে অন্য শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত। ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে।
No comments:
Post a Comment