মশলার রানী গোলমরিচ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩০ জুলাই: গোলমরিচ মশলার রানী বা ক্যুইন অফ স্পাইস হিসাবে বিখ্যাত এবং আমাদের দেশের মশলাগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, অনেক রোগের চিকিৎসায়ও অনেক সাহায্য করে। গোলমরিচে উপস্থিত অ্যালকালয়েড উপাদান পিপেরিন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। গোলমরিচ নিজের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করা গুণের জন্য পরিচিত। হাজার হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদে ঐতিহ্যগত চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ক্যারোটিন, থায়ামিনের মতো পুষ্টিকর উপাদানও এতে পাওয়া যায়।
গোলমরিচে উপস্থিত পিপেরিন নামক একটি যৌগ শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই কারণে গোলমরিচ প্রদাহজনিত রোগ, হৃদরোগ এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারে অত্যন্ত উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
গোলমরিচ খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রায় সব ধরনের সবজি এবং সালাদ যোগ করে এটি খেতে পারেন এবং এর একাধিক গুণের সুবিধা পেতে পারেন। এর গুণগুলি হল-
ম্যালেরিয়াতেও গোলমরিচ খাওয়া খুবই উপকারী।
এটি চোখের পলকে দাঁতের ব্যথা নিরাময় করে। দৃষ্টিশক্তির জন্যও এটি খুবই উপকারী।
শরীরের কোনও অংশে ফুলে গেলে গোলমরিচ পিষে লাগালে দ্রুত ফোলা নিরাময় হয়।
ক্ষুধামন্দা, বদহজম এবং শ্বাসকষ্টের রোগ যেমন হাঁপানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গোলমরিচ খাওয়া খুবই উপকারী।
প্রতিদিন এক টেবিল চামচ ঘি, ৮টি গোলমরিচ ও গুড় একসঙ্গে চেটে খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো হয় এবং মস্তিষ্কের দুর্বলতা দূর হয়।
খাওয়ার পর এক চিমটি পেষা গোলমরিচ ও আধা টেবিল চামচ ঘি মিশিয়ে চাটলে কাশি থেকে মুক্তি মেলে।
আধা গ্লাস জলে ৫টি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কাটা লেবুতে কালো লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়ো লাগিয়ে এর রস চুষে খেলে বদহজম ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পেটের কৃমির সমস্যা থাকলে এক গ্লাস বাটারমিল্কে অল্প পরিমাণে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। এছাড়াও, রাতে কিশমিশের সাথে গোলমরিচ খেলে পেটের কৃমি মারা যায়।
জিরা, চিনি ও গোলমরিচ পিষে গুঁড়ো করে আধা চা চামচ করে সকাল-সন্ধ্যা খেলে পাইলসের সমস্যা দূর হয়।
ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গোলমরিচে পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার থেকে বাঁচায়।
গোলমরিচের নিয়মিত ব্যবহার (মসলা বা ওষুধের আকারে) শরীরে সেরোটোনিন হরমোন তৈরি করে, যা ভালো মেজাজের জন্য দায়ী। সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়লে বিষণ্নতায়ও উপকার মেলে।
বি.দ্র: খবরে দেওয়া তথ্য একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে লেখা। নতুন যে কোনও কিছু শুরুর আগে এবং শারীরিক সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment