'একবিংশ শতাব্দীর চক্রব্যূহ পদ্মের চিহ্ন', সংসদে বিজেপিকে নিশানা রাহুলের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ জুলাই : কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা, রাহুল গান্ধী সংসদে বাজেট নিয়ে আলোচনার সময় বিজেপি এবং মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, "দেশে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেশের যুবক ও কৃষক সবাই আতঙ্কিত। বিজেপির 'চক্রব্যূহ'তে আটকা পড়েছে ভারত। হিংসা ও ঘৃণা ভারতের স্বভাব নয়। চক্রব্যুহ ভারতের প্রকৃতি নয়। চক্রব্যূহে ভয় ও হিংসা আছে।"
রাহুল আরও বলেছেন যে, "২১ শতকে একটি নতুন চক্রব্যূহ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই চক্রব্যূহ পদ্মের আকারে। এই চক্রব্যূহের সঙ্গে জড়িত ছয়জন। এর মধ্যে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মোহন ভাগবত, অজিত ডোভাল, মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি।" স্পিকার ওম বিড়লার হস্তক্ষেপের পরে, তিনি বলেন যে, "আপনি যদি চান তবে আমি এনএসএ, আম্বানি এবং আদানির নাম ছেড়ে দিয়ে কেবল তিনটি নাম নেব।"
তিনি বলেন, "বাজেটে কৃষক ও যুবদের জন্য কিছুই ছিল না। পেপার ফাঁস ইস্যুতে অর্থমন্ত্রী একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। বাজেটে ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এটা একটা কৌতুক, কারণ আপনি বলেছেন দেশের ৫০০ বড় কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম হবে। ৯৯ শতাংশ যুবকের এই ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের সাথে কিছুই করার নেই। এর অর্থ, প্রথমে আপনি আপনার পা ভেঙেছেন, তারপর আপনি একটি ব্যান্ডেজ লাগাচ্ছেন।"
তিনি আরও বলেন, " সত্য হল আপনি বেকারত্ব এবং পেপার ফাঁসের গোলকধাঁধা তৈরি করেছেন। পেপার ফাঁস আজ তরুণদের কাছে সবচেয়ে বড় ইস্যু হলেও বাজেটে এ নিয়ে কথা হয়নি। উল্টো আপনারা শিক্ষার বাজেট কমিয়েছেন। দমকল কর্মীদের এক টাকাও দেওয়া হয়নি।"
রাহুল বলেন যে, "দেশের মধ্যবিত্তরা সম্ভবত এই বাজেটের আগে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করেছিল কারণ করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী যখন মধ্যবিত্তদের থালা বাজাতে এবং মোবাইলের আলো জ্বালাতে বলেছিলেন, তখন তারা এই সব করেছিল। কিন্তু এই বাজেটে কর বাড়িয়ে মধ্যবিত্তদের ওপর আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের বাজেট তৈরির কাজ করেছেন ২০ জন আধিকারিক। এই ২০ জন অফিসারের মধ্যে শুধুমাত্র একজন সংখ্যালঘু এবং একজন ওবিসি। সরকার মধ্যবিত্তের পিঠে ছুরি মেরেছে।"
No comments:
Post a Comment