মুচির সাথে আলাপচারিতায় মাতলেন রাহুল, মুগ্ধ নেটপাড়া
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ জুলাই: মানহানির একটি মামলায় হাজিরা দিতে শুক্রবার (২৬ জুলাই) উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর আদালতে পৌঁছান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই সময় রাহুল গান্ধীকে আবারও তাঁর স্বমহিমায় দেখা গেল। ফেরার সময় তিনি একটি মুচির দোকানে থামেন এবং লোকজনের কাছে তাঁদের খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি, মুচির দোকানে থামার সময়, রাহুল তাঁর জুতা-চপ্পল সেলাই করেন এবং একাত্মতা দেখিয়ে দোকানদারের সাথে কথাও বলে। এই ছবি সমাজ মাধ্যমে পোস্টও করেন রাহুল। তাঁর এই কাজে মুগ্ধ নেট পাড়া।
রায়বেরেলির সাংসদ এবং লোকসভার বিরোধী দলের নেতা, রাহুল গান্ধী মানহানির মামলায় তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করতে আজ (২৬ জুলাই) সুলতানপুরের এমপি-এমএএল আদালতে পৌঁছান। আদালতের কার্যক্রম শেষ করে রাহুল আবার পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে লক্ষ্ণৌ চলে যান। যেখান থেকে তাঁর দিল্লী যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের আগে, তার কনভয় অযোধ্যা প্রয়াগরাজ হাইওয়ের কুরেভর থানা এলাকার এমএলএ নগর মোড়ের কাছে হঠাৎ থামে এবং তিনি গাড়ি থেকে নেমে রামচেত নামে একটি মুচির দোকানের দিকে চলে যান।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, রামচেতের দোকানে তাঁর পাশে গিয়ে বসেন এবং তাঁর খোঁজ খবর নেন। রাহুল প্রথমে রামচেতের কাছ থেকে তার চাকরি এবং পরিবারের হাল সম্পর্কে জানতে পারে। তারপর, রামচেতকে জিজ্ঞাসা করেন, দরিদ্রদের কোন জিনিসগুলি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং সে সম্পর্কে আলোচনাও করেন। জুতা ও চপ্পল কীভাবে মেরামত করা হয় তাও রাহুল রামচেতকে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি এও জানেন, কীভাবে ঘরের ভরন-পোষন চলে।
নিজেদের মাঝে রাহুল গান্ধীকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রামচেত। প্রথমে তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি যে, রাহুল গান্ধী তাঁর ছোট দোকানে বসে চপ্পল সেলাই করছেন। এর পর রামচেত রাহুল গান্ধীর জন্য কোল্ড ড্রিংক আনতে দেন এবং দুজনেই কোল্ড ড্রিংক পানও করেন।
কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সাথে দেখা করে আনন্দ প্রকাশ করেন মুচি রামচেত। তিনি বলেন, 'আমি তাঁকে (রাহুল গান্ধীকে) বলেছি যে, আমি পুঁজির ক্ষেত্রে দুর্বল, আমি দরিদ্র। আমাদের একটু সাহায্য করুন। আমি ওনাকে জুতো সেলাই করে দেখাই। রাহুল গান্ধীও সেটি স্পর্শ করেন। কংগ্রেস সাংসদ মুচিদের ইস্যু লোকসভায় তোলার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে মুচির সঙ্গে দেখা করার এই ছবি সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেন রাহুল গান্ধী। সেইসঙ্গে তিনি লেখেন, "আজ, সুলতানপুর থেকে লখনউ যাওয়ার সময়, আমি মুচি হিসাবে কাজ করা কঠোর পরিশ্রমী লোকদের সাথে দেখা করেছি এবং তাঁদের সমস্যার কথা জানতে পেরেছি ও তাদের দুঃখ অনুভব করেছি। আমাদের সংকল্প হল তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের নিরাপদ ভবিষ্যত প্রদান করা। ইন্ডিয়া তাদের অধিকারের জন্য রাজপথ থেকে সংসদ পর্যন্ত লড়াই করবে এবং তাদের আওয়াজ তুলবে।"
রাহুলের এই পোস্টের নিচে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বেশি নেটিজেন কমেন্ট করেছেন। রাহুলের এই সৌজন্যবোধকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
No comments:
Post a Comment