গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা যেন আস্ত জলাশয়! খবর পেয়েই ছুটে গেলেন তৃণমূল নেতা, খোঁচা বিজেপির
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৫ জুলাই: ব্লক দফতর, স্কুল, হাসপাতাল থেকে শুরু করে একাধিক প্রশাসনিক দফতরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশা, খানাখন্দে ভর্তি। তিন দিনের বৃষ্টিতে রাস্তা যেন জলাশয়, ঘটছে দুর্ঘটনা। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্যর তৎপরতায় দ্রুত শুরু হল রাস্তা সংস্কারের কাজ। 'দুর্নীতি করে এখন নাটক করছে', খোঁচা বিজেপির, জেলা পরিষদ সদস্যকে সাধুবাদ এলাকাবাসীর। ঘটনা মালদা জেলার।
এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। ব্লক, হাসপাতাল, স্কুল থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরে যে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজার হাজার মানুষ। সেই রাস্তা চারিদিকে বড় বড় খানাখন্দে ভর্তি। এলাকায় নিকাশি না থাকার কারণে তিন দিনের বৃষ্টিতে রাস্তা কার্যত জলাশয়। অভিযোগ, যার ফলে ঘটেছে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা। প্রসূতি সহ উল্টে গেছে টোটো।
সেই সমস্যার কথা জানতে পারেন স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান। সাথে সাথে স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে সেখানে যান তিনি। বর্তমানে অস্থায়ীভাবে শুরু হয়েছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। নিকাশি সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য। যদিও এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, প্রত্যেকটা রাস্তা তৈরি হওয়ার সময় তৃণমূল নেতারা কাটমানি নেওয়ার জন্য ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। যার জন্য এই হাল। পাল্টা বিজেপিকে বিঁধেছে তৃণমূল।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বারদুয়ারি সদর এলাকায় দুর্গা মণ্ডপ সংলগ্ন রাস্তা। যে রাস্তা একাধিক জায়গায় ভেঙে গেছে, যার ফলে ছোট-বড় গর্ত। ওই এলাকায় তেমন ভাবে নিকাশির কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলত তিন দিনের বৃষ্টিতে সেই সব গর্ত জলে পরিপূর্ণ। নিকাশির জন্য হচ্ছে না জল পাশ। অভিযোগ, সেখানেই এর মধ্যে ঘটে গেছে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা। জলে ভরা গর্ত বুঝতে না পেরে টোটোর চাকা পড়ে উল্টে গেছে টোটো। এক প্রসূতিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই টোটোতে।
এই রাস্তাটি ওই এলাকার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। প্রায় ১৬ টি অঞ্চলের মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক দফতর। হাসপাতাল বা স্কুল যেতে হলে সেই রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে এলাকার নেতারা ওই রাস্তা দিয়ে যান প্রত্যহ। তারপরও কেন তাদের নজরে পড়েনি! এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
যদিও স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান সমস্যার খবর জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ সেখানে যান। তার সঙ্গে ছিলেন যুব নেতা মনিরুল ইসলাম, স্থানীয় প্রধান থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতৃত্বরা। রাস্তাটি পূর্ত দফতরের। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলে শুক্রবার থেকে তড়িঘড়ি রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, যার জন্য বুলবুল খানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি ওই এলাকায় দ্রুত নিকাশির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য।
এদিকে বিজেপির অভিযোগ, প্রত্যেকটি রাস্তা তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে, যার জন্য কোনও রাস্তা টিকছে না। অপরদিকে, তৃণমূলের পাল্টা দাবী, 'তারা মানুষের জন্য কাজ করে বলেই এত দ্রুত কাজ শুরু হল। বিজেপি মানুষের পাশে না থেকে শুধু রাজনীতি করছে।'
No comments:
Post a Comment