মোদী-পুতিন রসায়ন দেখে বিস্ফোরক আমেরিকা
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১২ জুলাই: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাশিয়া সফর বিশ্ব জুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সফর প্রসঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন যে, ভারতের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়াকে বিশ্বাস করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এশিয়ার দুই পরাশক্তি চীন ও ভারতের মধ্যে যদি কখনও যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে রাশিয়াকে সব সময়ই ভারতের পক্ষে নয়, চীনের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যাবে।
জ্যাক সুলিভান সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন। এখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে দেখা করেন। সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাশিয়া সফর নিয়ে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রতিটি দেশকে আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, রাশিয়াকে বেশি দিন বিশ্বাস করা যায় না, যদি আপনি তা করেন তবে তা একটি ভুল বাজি।
সুলিভান বলেন, 'গত কয়েক বছরে রাশিয়া ক্রমাগত চীনের কাছাকাছি এসেছে বা অন্য কথায় চীনের জুনিয়র পার্টনার হয়ে উঠেছে। এভাবে ভারত ও চীনের মধ্যে যেকোনও ধরনের বিবাদে চীনের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাবে রাশিয়াকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী অবশ্যই চীনের সাথে ক্রমাগত অবনতিশীল সম্পর্কের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। গত কয়েক বছরে ভারতের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আগ্রাসী রণনীতি অবলম্বন করছে চীন।'
সুলিভান বলেন, 'আমি জানি যে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্ক রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। এটি একটি দীর্ঘ খেলা, আমরা (আমেরিকা) আমাদের গণতান্ত্রিক মিত্রদের সাথে ক্রমাগত আমাদের সম্পর্ক মজবুত করছি। আমরা যত এগিয়ে যাব, সময়ের সাথে সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।'
প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাশিয়া সফরের পর আমেরিকার এই বিবৃতি এসেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী দুই দিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে দেখা করেছিলেন এবং ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে কথা বলেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'যুদ্ধের মাধ্যমে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। উভয় দেশের উচিত কূটনীতি ও সংলাপের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা।' ভারত কখনই প্রকাশ্যে ইউক্রেন হামলা নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনা করেনি, যে বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে প্রতিনিয়ত ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে দেখা যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment