ভূসর্গে বইছে লু! রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা, দাবদাহের জেরে বন্ধ স্কুল
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ জুলাই : সমতল ভূমিতে তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীর, হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের উপত্যকায় মানুষ চলে যাচ্ছে। কিন্তু তাপপ্রবাহ উপত্যকায়ও আঘাত হানতে শুরু করলে কী হবে? এই গরমে কাশ্মীরের অবস্থা এমনই। শুধু তাই নয়, জুলাই মাসে দুই দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হয়েছে। কারণ সেখানে তাপপ্রবাহ চলছে। কাশ্মীরের সমস্ত বেসরকারী এবং সরকারি স্কুলগুলি ২৯ এবং ৩০ জুলাই বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনার ভি কে বিধুরি এই নির্দেশ জারি করে বলেছেন যে শিক্ষার্থীদের ডাকা উচিত নয়। তবে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ভি কে বিধুরী তার নির্দেশে বলেছেন, 'উপত্যকায় চলমান তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক স্তরের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলি ২৯ এবং ৩০ জুলাই বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' তবে সকল শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের মতো এলাকায় পরিস্থিতি এমন যে, লোকজনকে খালে স্নান করতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় এক নাগরিক জানান, সম্ভবত বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। শ্রীনগরসহ কাশ্মীরের বেশির ভাগ এলাকায় এমন প্রচণ্ড গরম দেখা যায়নি। গরমের কারণে মানুষকে বাঁচতে হ্রদ, গিরিখাত ও জলপ্রপাতের আশ্রয় নিতে হচ্ছে।
এ বছর কাশ্মীরে প্রচণ্ড গরমের পরিস্থিতি রয়েছে এবং গত ২৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে গেছে জুলাইয়ে। রবিবার শ্রীনগরের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৯ জুলাই, ১৯৯৯-এর পর প্রথমবার, জুলাই মাসে শ্রীনগরে এত বেশি তাপমাত্রা পাওয়া গিয়েছিল। তবে, শ্রীনগরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ জুলাই, ১৯৪৬-এ। তখন তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগুন্ড এবং কোকেরনাগেও তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বাইরে কোকারনাগেও ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
No comments:
Post a Comment