"কেদারনাথ থেকে ২২৮ কেজি সোনা হারিয়ে গেছে", বিস্ফোরক দাবী শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৫ জুলাই : জ্যোতিষ পীঠের শঙ্করাচার্য, স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা উদ্ধব ঠাকরের অনুরোধে তাঁর বাসভবন মাতোশ্রীতে পৌঁছেছেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি উদ্ধব ঠাকরে সংক্রান্ত মামলা, দিল্লীর প্রতীকী কেদারনাথ মন্দির, কেদারনাথ ধামের ২২৮ কেজি সোনার মতো বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্যের পর শিবসেনার (শিন্দে) গোষ্ঠীর নেতা সঞ্জয় নিরুপমের বক্তব্যও এসেছে। এতে তিনি শঙ্করাচার্যকে কম ধর্মীয় এবং বেশি রাজনৈতিক বলে বর্ণনা করেছেন।
উদ্ধব ঠাকরের মামলা প্রসঙ্গে শঙ্করাচার্য বলেন, "আমরা সনাতন ধর্ম পালনকারী মানুষ। পুণ্য ও পাপের অনুভূতি এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গরু জবাইকে সবচেয়ে বড় পাপ বলা হয়েছে। এর চেয়েও বড় অ্যামবুশকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। উদ্ধবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এ নিয়ে সবার হৃদয়ে বেদনা। তার আমন্ত্রণে আমরা তার সাথে দেখা করেছি। তিনি স্বাগত জানান।"
শঙ্করাচার্য বললেন, "আমরা তাকে বলেছি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। যতক্ষণ না আপনি আবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন ততক্ষণ পর্যন্ত এই যন্ত্রণা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বাসঘাতক হিন্দু হতে পারে না। এতে পুরো মহারাষ্ট্রের মানুষ ভুগছে। এটা সঠিক না। মাঝপথে সরকার ভেঙ্গে ফেলা ভালো কাজ নয়। শঙ্করাচার্য যা সত্য তাই বলবেন।"
দিল্লীতে প্রতীকী কেদারনাথ সম্পর্কিত প্রশ্নে তিনি বলেন যে, "এটি হতে পারে না। কেদারনাথ হিমালয়ে অবস্থিত। কেন আপনি কেদারনাথের অবস্থান পরিবর্তন করতে চান? এটি একটি ভুল প্রচেষ্টা। আমাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী লোকজন ঢুকছে।"
শঙ্করাচার্য বলেন, "কেদারনাথে সোনা কেলেঙ্কারি হয়েছে। ২২৮ কেজি সোনা হারিয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত কোনও তদন্ত হয়নি। এর জন্য দায়ী কে? আপনি বলবেন আমরা দিল্লীতে কেদারনাথ নির্মাণ করব… এটা হতে পারে না। নরেন্দ্র মোদী আমার শত্রু নন। আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর শুভাকাঙ্ক্ষী।"
শিবসেনা (শিন্দে) নেতা সঞ্জয় নিরুপমও উদ্ধব সম্পর্কে শঙ্করাচার্যের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "জগৎগুরু শঙ্করাচার্য আভিমুক্তেশ্বরানন্দ জি ধর্মীয় কম এবং রাজনৈতিক বেশি। ইউবিটি প্রধানের সাথে দেখা করা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। তবে শিবসেনার অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করা তার এড়ানও উচিৎ ছিল। এটা তাদের মানায় না।"
No comments:
Post a Comment