কেন চিংড়ি চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক চুক্তি? বিস্তারিত জানুন
রিয়া ঘোষ, ২৮ জুলাই : অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সাধারণ বাজেট ২০২৪-এ কৃষকদের জন্য বড় স্বস্তি দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, দেশে চিংড়ি চাষ বাড়াতে অর্থমন্ত্রী ২০২৪ সালের বাজেটে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সাধারণ বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, "ভারতের বিভিন্ন স্থানে চিংড়ির ব্রুড-স্টক নিউক্লিয়াস প্রজনন কেন্দ্রের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।" এছাড়াও, তিনি আরও বলেন যে প্রক্রিয়াকরণ এবং রপ্তানির জন্য অর্থায়নের সুবিধাও নাবার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের দেওয়া হবে।
২০২৪ সালের বাজেটে চিংড়ির খাদ্য এবং ব্রুডস্টক আমদানিতে শুল্কও কমানো হয়েছে। যাতে কৃষকরা চিংড়ি পালন করে সর্বোচ্চ মুনাফা পেতে পারে। সরকার চিংড়ির খাদ্য আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং ব্রুডস্টক আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নিন চিংড়ি চাষ কেন লাভজনক?
মিষ্টি জলে চিংড়ি চাষ করা হয়। চাষিদের মাছ চাষের মতোই চিংড়ির পুকুর প্রস্তুত করতে হয়।
পুকুরটি এঁটেল পলি বা দোআঁশ মাটিতে তৈরি করা উচিত, কারণ এতে জল ধারণ ক্ষমতা ভালো।
চিংড়ির জন্য, পুকুরে প্রতি হেক্টরে ২৫০-১০০০ কেজির মধ্যে চুন প্রয়োগ করুন। এতে করে পুকুর জীবাণুমুক্ত থাকে।
গলদা চিংড়ির খাবার হিসেবে সুজি, ময়দা এবং ডিম একসঙ্গে মিশিয়ে পুকুরে রাখুন।
গলদা চিংড়ির খাবারে প্রায় ৮০% নিরামিষ এবং ২০% আমিষ খাবার দিতে হবে।
চিংড়ি চাষের উৎপাদন ও লাভ
চিংড়ি পুকুরে রাখা লার্ভাল চিংড়ির মাত্র ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ বেঁচে থাকে, তাই তাদের ভাল যত্ন নিন। ৪ থেকে ৫ মাসে চিংড়ির ওজন প্রায় ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম বৃদ্ধি পায়, তাই চিংড়ির ওজন ৫০ গ্রামের বেশি হলে পুকুর থেকে বের করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। পুকুরে খাঁটি চিংড়ির দাম বাজারে প্রতি কেজি প্রায় ২৫০ টাকা। ততক্ষণ পর্যন্ত হয়। এর সঙ্গে জড়িত মূলধন খরচ বাদ দিলে এক একর জলাশয় থেকে ২ লাখ টাকার বেশি লাভ পাওয়া যাবে।
No comments:
Post a Comment