OMG! ২৭২ বার সাপে কামড়ানোর পরেও বেঁচে ছিলেন এই ব্যক্তি
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৭ জুলাই: বিষ আছে বলেই মানুষ সাপকে ভয় পায়। মানুষ জানে যে বিষাক্ত সাপ তাদের কামড়ালে তাদের জীবন বিপদে পড়বে। তবে কিছু মানুষ আছেন যারা সাপের বিষে আক্রান্ত হন না। ইতিহাসে এমন অনেক চরিত্রের কথা নিশ্চয়ই পড়েছেন যারা সাপের বিষ বা অন্য কোনও বিষে আক্রান্ত হননি। কারণ বিষ এড়াতে তারা প্রথম থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। আজ এই প্রতিবেদনে এমন একজন ভারতীয় সম্পর্কে জেনে নিন, যাকে ২৭২ বার সাপে কামড়েছে কিন্তু তাঁর কিছুই হয়নি।
যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি হিমাচল প্রদেশের অমর সিং। ২০০৩ সালে যখন এটি প্রকাশ্যে আসে, তখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও এটি কভার করে। সেই সময়, ৯২ বছর বয়সী অমর সিং দাবী করেন যে, ছোটবেলা থেকে তাঁকে ২৭২ বার সাপে কামড়েছে, কিন্তু সাপের বিষ তাঁর ওপর কোনও প্রভাব ফেলেনি।
সে সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে অমর সিং বলেন, সাপের বিষ তাঁকে প্রভাবিত করে না কারণ তিনি প্রথম থেকেই লবণ খান না। তিনি বিশ্বাস ছিল যে, আপনি যদি লবণ না খান তবে সাপের বিষ আপনাকে প্রভাবিত করবে না। যদিও বিজ্ঞান এটা মেনে নেয় না।
বিজ্ঞান বিশ্বাস করে, যদি বিষাক্ত সাপ আপনাকে কামড় দেয়, তবে এটি নিশ্চিত যে সেই বিষ আপনাকে প্রভাবিত করবে। এটা অবশ্যই সম্ভব যে, কারও ওপর এই বিষের প্রভাব বেশি হতে পারে এবং কারও ওপর এই বিষের প্রভাব কম হতে পারে। আসুন এবারে জেনে নেওয়া যাক, ইতিহাসের সেই সব চরিত্রের কথা, যাদের সম্পর্কে দাবী করা হয় তারাও কোনও বিষে আক্রান্ত হননি।
কোনও কোনও ঐতিহাসিক বিশ্বাস করেন যে, সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের গুরু চাণক্য শৈশব থেকেই তাকে সীমিত মাত্রায় বিষ দিতেন। চাণক্য এমনটি করতেন যাতে ভবিষ্যতে যদি কখনও বিষ দিয়ে চন্দ্রগুপ্তকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়, তবে চন্দ্রগুপ্তের শরীর ইতিমধ্যেই সেই বিষের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।
এর পাশাপাশি ইতিহাসে বিশ্বকন্যা সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু পড়ে থাকতে পারেন। এরা একজন খুনির ভূমিকায় অভিনয় করতেন। যে লোকেরা বিষকন্যা তৈরি করত তারা টাকা নিয়ে যে কাউকে খুন করতে ব্যবহার করত। আসলে এই বিষকন্যাদের তৈরি করতে ছোটবেলা থেকেই বিষ দেওয়া হত। বড় হওয়ার সাথে সাথে তারা এতটাই বিষাক্ত হয়ে পড়ে যে, তারা কাউকে নখ দিয়ে আঁচড় দিলেও সেই ব্যক্তি মারা যাবে। তবে অনেক ঐতিহাসিক বিশ্বকন্যা চরিত্রে বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বিশ্বাস করেন, এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র।
No comments:
Post a Comment