HIV-র সাথে সম্পর্কিত কিছু ভুল ধারণা ও সত্যতা
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৪ জুলাই: অ্যাকুয়ার্ড ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম(AIDS) হল হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস(HIV) দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ,যা একজন ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।এটি প্রাথমিকভাবে ফ্লু-র মতো লক্ষণগুলির দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।যেমন- অবিরাম জ্বর, দীর্ঘায়িত কাশি,ব্যাখ্যাতীত ওজন হ্রাস,মুখের আলসার,বেদনাদায়ক, চুলকানি,ত্বকের ক্ষত ইত্যাদি।HIV সংক্রমণের সুনির্দিষ্ট নির্ণয়ের জন্য একটি রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন, কারণ শুধুমাত্র উপসর্গই চূড়ান্ত নয়।AIDS বিভিন্ন উপায়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর বিস্তার সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে যা পরিষ্কার করা দরকার।
মিথ: HIV পজিটিভ মানুষের সন্তান হতে পারে না।
সত্য: HIV পজিটিভ মানুষ নিরাপদে সন্তান ধারণ করতে পারে।তবে গর্ভাবস্থা বিবেচনা করার সময় একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা প্রয়োজন।গর্ভবতী হলে মা এবং শিশু উভয়ের সুরক্ষার জন্য ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।উপরন্তু, জন্মের পরে শিশুকেও ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
মিথ: HIV স্পর্শের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
সত্য: প্রতিবেদনগুলি নিশ্চিত করে যে হ্যান্ডশেক,আলিঙ্গন, হাই-ফাইভ বা অনুরূপ শারীরিক যোগাযোগের মতো নৈমিত্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে HIV ছড়ায় না।সংক্রামিত সূঁচ ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে বা সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে ত্বকের ক্ষতের যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটতে পারে।
মিথ: পোকামাকড় HIV ছড়াতে পারে।
সত্য: মশা সহ পোকামাকড় HIV ছড়াতে পারে না।এটি একটি সাধারণ ভুল ধারণা যে HIV-র মতো রোগ পোকামাকড়ের কামড় বা হুল দিয়ে ছড়াতে পারে।
মিথ: HIV জল বা খাবারের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
সত্য: জল বা খাবারের মাধ্যমে HIV সংক্রমণের সম্ভাবনা খুবই কম।কারণ ভাইরাসটি মানবদেহের বাইরে বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে না।অতএব সাঁতার,পানীয় জল,স্নান বা জলের সংস্পর্শে আসার মতো কার্যকলাপগুলি HIV সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করে না।
মিথ: কে HIV ছড়াতে পারে?
সত্য: HIV বন্ধ মুখের চুম্বন বা গালে চুম্বনের মাধ্যমে ছড়াতে পারে না।তবে মুখে খোলা ক্ষত বা কাটা থাকলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
এই স্পষ্টীকরণগুলি ভুল ধারণা দূর করতে এবং HIV/AIDS সংক্রমণ সম্পর্কে সঠিক বোঝার প্রচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় এবং ছড়ায় না তা বোঝা HIV/AIDS আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে,কলঙ্ক কমাতে এবং প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে জ্ঞাত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত করে।
No comments:
Post a Comment