স্বাস্থ্যের জন্যও সত্য বলা উপকারী
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৬ জুলাই:
সত্য বলা ঈমানের অঙ্গ। আবার সত্য বলা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।সর্বদা সত্য বলার মাধ্যমে আপনি যেমন নিজের মহত্ব বজায় রাখতে পারবেন,ঠিক তেমনই এই অভ্যাস আপনার মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত করবে।
অবাক করা বিষয় হলেও সত্য যে,সর্বদা সত্য বলা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন,মিথ্যা বলতে গিয়েও যদি আপনি তা সংবরণ করে সত্য বলেন তাহলে আপনার মানসিক ও শারীরিক উভয় স্বাস্থ্যেরই উন্নতি ঘটে।
এই সমীক্ষায় ১৮-৭১ বছর বয়সী ১১০ জনকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল। একটি দলকে ১০ সপ্তাহের জন্য মিথ্যা বলতে নিষেধ করা হয়েছিল। অন্য দলের উপর তেমন কোনো নির্দেশ ছিল না।
১০ সপ্তাহের পরীক্ষার পর গবেষকরা দেখেন,যে বিগত কয়েক মাস মিথ্যা বলেননি তাদের মধ্যে উত্তেজনা,বিষণ্নতা ও মাথাব্যথার সমস্যা কম ছিল। এমনকি সর্বদা সত্য বলার কারণে তাদের সঙ্গীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও উন্নত হয়েছে।
মিথ্যা বিশেষজ্ঞ রবার্ট ফেল্ডম্যানের গবেষণা অনুযায়ী,প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ কারও সঙ্গে ১০ মিনিট কথোপকথনে অন্তত দু'বার হলেও মিথ্যা বলেন।
অন্যদিকে দ্য সায়েন্স অব অনেস্টি নামক গবেষণা প্রকল্পের প্রধান লেখক ও নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মনবিজ্ঞানের অধ্যাপক অনিতা ই.কেলির মতে,একজন ব্যক্তি একদিনে গড়ে প্রায় ১১বার মিথ্যা বলেন।
আর মিথ্যা বলার কারণে ক্রমাগত মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়,যা ইমিউন সিস্টেমকে নষ্ট করে দেয়। তাই সত্য বলার বিকল্প নেই।
No comments:
Post a Comment