'এই ধরণের প্রচেষ্টার অংশ হওয়া উচিৎ', কোন বিষয়ে বললেন ইসরো প্রধান? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 6 July 2024

'এই ধরণের প্রচেষ্টার অংশ হওয়া উচিৎ', কোন বিষয়ে বললেন ইসরো প্রধান?

 


'এই ধরণের প্রচেষ্টার অংশ হওয়া উচিৎ', কোন বিষয়ে বললেন ইসরো প্রধান? 



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৬ জুলাই: মহাকাশের পৃথিবী রহস্যে ভরা। বেশিরভাগ মানুষেরই মহাকাশ সম্পর্কে জানার কৌতূহল থাকে। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত মহাকাশের রহস্যের সমাধান করতে পারেননি, তবে এমন অনেক রহস্য রয়েছে, যার পরে কেউ কিছু জানে না।


তথ্য অনুযায়ী, মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে আসছে বড় ধরনের হুমকি। আসলে, ৩০৫ মিটার চওড়া একটি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে চলেছে, যার নামকরণ করা হয়েছে মিশরীয় ধ্বংসের দেবতা অ্যাপোফিসের নামে।


ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এখন এটি অধ্যয়ন করতে এবং গ্রহকে বাঁচানোর মিশনে অংশ নিতে আগ্রহী। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বিষয়টি বুঝতে চান।


ইসরো প্রধান সোমনাথ এই বিষয়ে বলেছেন যে, ২০২৯ সালে যখন অ্যাপোফিস আসবে, তখন আমাদের এই গ্রহাণুতে যেতে এবং এর সাথে দেখা করতে সক্ষম হওয়া উচিৎ। তিনি বলেন, 'তখন এটি পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে। এটি গ্রহাণুর সাথে কাজ করার জন্য মানবতার জন্য জীবনে একবারের সুযোগ। ভারতের উচিৎ এই ধরণের প্রচেষ্টার অংশ হওয়া।'


তথ্য অনুযায়ী, ভারত কীভাবে এতে অংশ নেবে তা এখনও ঠিক হয়নি। গ্রহাণুকে টাইম ক্যাপসুলও বলা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এগুলো আদি পৃথিবীর ধ্বংসাবশেষ। আমাদের পৃথিবী কীভাবে এসেছে, এটা বুঝতে এর থেকে সাহায্য মিলতে পারে।


এখন প্রশ্ন হল গ্ৰহাণু পৃথিবীতে আঘাত করবে কিনা। তথ্য অনুযায়ী, ১৩ এপ্রিল ২০২৯-এ এই গ্ৰহাণু পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে। তখন এর দূরত্ব হবে প্রায় ৪৮,২৮০ কিলোমিটার। এর আয়তন ৩০৫ মিটার চওড়া, যা পৃথিবীর কাছাকাছি হলে খালি চোখে দেখা যাবে।


বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে এটির আঘাতের সম্ভাবনা বর্তমানে নগণ্য। কিন্তু কখনও কখনও এটি ঘটে, যখন একটি গ্রহাণু পৃথিবীর এত কাছে আসে। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এই সুযোগ হারাতে চান না। তারা গ্রহাণুর মাধ্যমে সৌরজগৎ ও পৃথিবীকে উল্কাপিণ্ড থেকে রক্ষা করার উপায় অধ্যয়ন করবেন।


মিশনের সাথে সম্পর্কিত পরিকল্পনা সম্পর্কে, ইসরো প্রধান বলেন যে, জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এবং নাসার যৌথ গ্রহাণু অ্যাপোফিস মিশনে একটি যন্ত্র ইনস্টল করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগে নাসা ২০২২ সালে ডার্ট মিশনের মাধ্যমে একটি গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করেছিল।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad