স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে অতিরিক্ত রক সল্ট ব্যবহার
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩০ জুলাই: লবণ ছাড়া খাবারে স্বাদ হয় না।আজকাল স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে,লোকেরা কম সোডিয়ামযুক্ত রক সল্ট ব্যবহার করতে শুরু করেছে।একে হিমালয়ান লবণ বা গোলাপী (পিঙ্ক)লবণ বা শিলা(রক)লবণও বলা হয়।শিলা লবণ একটি খনিজ যা খুব কম পরিমাণে সোডিয়াম ধারণ করে এবং এটি তৈরি করতে কোনও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না,তাই একে বিশুদ্ধ লবণ বলা হয়।কিন্তু যেভাবে সব কিছুরই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে,ঠিক একইভাবে অতিরিক্ত রক সল্ট খেলেও শরীরে অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে।এটা একটানা খেলে শরীর অনেক রোগের শিকার হতে পারে।আজকে আমরা বলবো রক সল্টের অত্যধিক ব্যবহার আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে।
অতিরিক্ত রক সল্ট ব্যবহারে গলগন্ড হতে পারে -
শিলা লবণে সাধারণ লবণের তুলনায় অনেক কম আয়রন এবং আয়োডিন থাকে।এমন অবস্থায় এটা একটানা এবং বেশি মাত্রায় খেলে শরীরে আয়োডিন নামক মিনারেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি হলে গলগণ্ড নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।এই রোগে গলায় পিণ্ড তৈরি হয় এবং খেতে ও গিলতে অসুবিধা হয়।
থাইরয়েড রোগীদের বেশি ক্ষতি হতে পারে -
শিলা লবণে আয়োডিনের অভাবে তা থাইরয়েড রোগীদের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।যারা থাইরয়েড রোগে ভুগছেন তাদের শুধুমাত্র সাধারণ লবণ ব্যবহার করা উচিৎ।এই লবণে আয়োডিনের ঘাটতি তাদের থাইরয়েডের মাত্রায় বিপজ্জনক পরিবর্তন ঘটাতে পারে।তাই থাইরয়েড রোগীদের শিলা লবণ ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়তে পারে -
যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে,অর্থাৎ যারা নিম্ন রক্তচাপের শিকার,তাদের খুব বেশি শিলা লবণ খাওয়া উচিৎ নয়।প্রকৃতপক্ষে,শিলা লবণে প্রচুর পটাসিয়াম পাওয়া যায়,যা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ভালো।তবে এটির অত্যধিক খাওয়া রোগীর বিপি খুব কম করে দিতে পারে।তাই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের এটি খাওয়া উচিৎ নয়। অন্যথায় রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম হতে পারে।
শিলা লবণ জল ধরে রাখার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে -
অতিরিক্ত রক সল্ট ব্যবহারের কারণে জল ধরে রাখার সমস্যা অর্থাৎ শরীরে তরল জমার সমস্যা দেখা দিতে পারে।অতএব, আপনি যদি ইতিমধ্যেই এর শিকার হন তবে আপনার শিলা লবণের ব্যবহার কমানো উচিৎ।শরীরে অতিরিক্ত জল ধারণ করলে এডিমা নামক রোগ হতে পারে।এই রোগে শরীরের টিস্যুতে জল জমে এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুলে যায়।এমন অবস্থায় ত্বক টানটান হয়ে যায় এবং চুলকানি শুরু হয়।এছাড়া জয়েন্টে ব্যথাও শুরু হয়।
No comments:
Post a Comment