মা হওয়ার পর ওজন দ্রুত বেড়ে যায় কেন? নিয়ন্ত্রণে যা করবেন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 31 July 2024

মা হওয়ার পর ওজন দ্রুত বেড়ে যায় কেন? নিয়ন্ত্রণে যা করবেন


 মা হওয়ার পর ওজন দ্রুত বেড়ে যায় কেন? নিয়ন্ত্রণে যা করবেন 



প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩১ জুলাই: গর্ভাবস্থার শুরু থেকে, একজন মহিলার শরীরে অনেক পরিবর্তন শুরু হয়, যা শারীরিক এবং মানসিক উভয়ই। বেশিরভাগ মহিলারা ৯ মাস গর্ভাবস্থায় নিজের যত্ন নেন, কিন্তু প্রসবের সাথে সাথে তারা নিজেদের সম্পর্কে অসতর্ক হয়ে পড়েন। এর সবচেয়ে বড় প্রভাব দেখা যায় তাদের ওজনের ওপর। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নিই প্রসবের পর ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ কী এবং এগুলো এড়াতে কী করা উচিৎ-


কেন গর্ভাবস্থার পরে ওজন বাড়ে?

 ১. গর্ভাবস্থায় মহিলাদের খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাদের সন্তানের পুষ্টির দিকেও খেয়াল রাখতে হয়, যার কারণে তাদের ক্যালরি গ্রহণের সাথে সাথে তাদের ওজনও বাড়তে থাকে।

 

২. গর্ভাবস্থা হল সেই সময়, যখন মহিলারা সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার খান। এতে তাদের শরীর সুস্থ থাকে। তবে এই সময়ে তারা পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন না এবং কম শারীরিক পরিশ্রমের কারণে তাদের ওজন বেড়ে যায়।


৩. গর্ভাবস্থায় মহিলারা বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। তাদের মধ্যে উদ্বেগও থাকে। অনেক গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, মানসিক চাপ ওজন বাড়ায়। 


৪. হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণেও গর্ভবতী মহিলাদের স্থূলতা বৃদ্ধি পায়। 


৫. বিভিন্ন ধরণের ওষুধ খাওয়ার কারণেও গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীর ভারী হয়ে যায়।


প্রসবের পর ওজন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?

 ১. বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রসবের পরে চর্বি একগুঁয়ে থাকে এবং সহজে চলে যায় না, তাই এটিকে ধীরে ধীরে চক্রাকারে কাজ করা উচিৎ।


 ২. প্রসবের পরে, মহিলারা খুব ক্ষুধার্ত বোধ করেন, যার কারণে তারা কিছু না কিছু খেতে থাকেন। এটা করা থেকে বিরত থাকুন। ক্ষিদে পেলে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার খান। দিনে ৫০০ ক্যালোরি কমিয়ে এক সপ্তাহে ওজন কমানো যায়।


 ৩. আপনি সারাদিনে কি খান সেদিকে মনোযোগ দিন। প্রসবের পরে, মহিলাদের আরও ক্যালোরি এবং শক্তি প্রয়োজন। ওজন কমানোর জন্য, ক্যালোরি গ্রহণের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।


 ৪. আজকাল কর্মজীবী মহিলারা গর্ভধারণের পর সন্তানকে ঠিকমতো খাওয়াতে পারেন না। প্রসবের পর ওজন কমাতে সঠিকভাবে বুকের দুধ খাওয়ান।

 

৫. ওজন কমাতে আপনার জীবনধারা উন্নত করুন। সারাদিন সক্রিয় থাকুন। নিজে যত কাজ করতে পারেন, করুন। প্রতিদিন একটু হাঁটাহাঁটি করুন।



বি.দ্র: এই সময় অযথা চিন্তা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সেই অনুযায়ী চলুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad