"প্রয়োজনে হিমঘর থেকে আলু বার করতে হবে", কড়া নির্দেশ নবান্নের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৪ জুলাই, কলকাতা : বাজারে আলুর দাম আকাশছোঁয়া। বুধবারও কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি, আলুর দাম বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন তৎপর। বাজারে আলুর সরবরাহ বাড়াতে হিমঘর থেকে আলু সরানোর নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। মুখ্যসচিব জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেন বাজারে যাতে আলু সংকট তৈরি না হয়। মুখ্য সচিব পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দিয়েছেন, বিশেষ করে যে জেলাগুলিতে আলু চাষ করা হয় এবং কোল্ড স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে। প্রয়োজনে হিমঘরে গিয়ে আলু বের করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে নিত্যদিনের বাজার মধ্যবিত্তের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাক-সবজি ও কাঁচা শস্যের দাম জ্বলছে, কিন্তু আলুর দাম দ্রুত বাড়ছে, মন্দায় ভুগছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। বাজার কি করবে? সোমবার পর্যন্ত জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি, চন্দ্রমুখী ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি। মঙ্গলবার প্রতি কেজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। কিন্তু কেন?
রাজ্য পুলিশের বর্বরতার একাধিক অভিযোগে সোমবার থেকে ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। ব্যবসায়ীরা হিমঘর থেকে আলু নিচ্ছেন না। সোমবার ধর্মঘটে অংশ নেননি সিঙ্গুর ও হরিপালের ব্যবসায়ীরা। তবে মঙ্গলবার থেকে তারাও যোগ দেন। ফলে সোমবার সিঙ্গুর ও হরিপাল হিমঘর থেকে বাজারে আসা আলুর মজুদও শেষ হয়ে গেছে। আলুর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি, তাই দাম বাড়ছে।
No comments:
Post a Comment