বমি ও ডায়রিয়া হলে শিশুদের কী খাওয়ানো উচিৎ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 17 July 2024

বমি ও ডায়রিয়া হলে শিশুদের কী খাওয়ানো উচিৎ


বমি ও ডায়রিয়া হলে শিশুদের কী খাওয়ানো উচিৎ

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৭ জুলাই: শিশুরা প্রতিটি বাড়ির জীবন যারা সবসময় খেলাধুলা করে এবং সুস্থ ও ভালো দেখায়।কিন্তু বাড়িতে কোনও শিশু অসুস্থ হলে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ে।বিশেষ করে গ্রীষ্মের মরসুমে একটু অসাবধানতাও শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।এই ঋতুতে শিশুরা প্রায়ই বমি ও ডায়রিয়ার শিকার হয়।যার কারণে তাদের শরীরে পুষ্টির ক্ষতি হতে পারে,তাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে।এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের শরীরে হাইড্রেশন বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার ও জল প্রয়োজন।এর পাশাপাশি বমি ও ডায়রিয়ার কারণে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি দেখা দেয়,তাই শিশুদের ওআরএস দেওয়া উপকারী।ড.সঞ্জয় মহাজন,সিনিয়র চিকিৎসক, কৈলাশ হাসপাতাল,নয়ডা, সিনিয়র কনসালটেন্ট ফিজিশিয়ান এবং ইনটেনসিভিস্ট বমি ও ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে শিশুদের কী খাওয়ানো উচিৎ সেই সম্পর্কে বলছেন৷

ডাক্তার বলেছেন,আপনার শিশু যদি ডায়রিয়া ও বমিতে ভুগে থাকে,তাহলে শিশুর চিকিৎসায় বিশেষ যত্ন নিতে হবে।এই ধরনের পরিস্থিতিতে শিশুদের সহজে হজমযোগ্য খাবার এবং জলের খুব প্রয়োজন,যা তাদের শরীর হারানো তরল পূরণ করতে পারে।চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন, শিশুদের বমি ও ডায়রিয়া হলে দেরি না করে অভিভাবকদের প্রথমে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিৎ,যাতে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা যায়।এরপরে,ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত ওষুধ খাওয়াতে হবে এবং খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।

ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন,গ্রীষ্মকালে শিশুদের প্রখর রোদে খেলা এবং সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে ঘর থেকে বের হওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে।গ্রীষ্মের বিকেলে প্রবল বাতাসের কারণে শিশুরা হিট স্ট্রোকের শিকার হতে পারে,যার ফলে বমি ও ডায়রিয়া হয়।এর সাথে,তাদের বাইরে খেলতে পাঠাতে আপনাকে অবশ্যই বাড়ি থেকে একটি বিশুদ্ধ জলের বোতল দিতে হবে।কারণ বাইরের দূষিত জল পান করলেও বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে।

ডাক্তার বলেছেন,শিশুর ডায়রিয়া হলে শিশুকে জলের সঙ্গে ওআরএস দিতে থাকা জরুরি,যাতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি না হয়। 

বমি ও পাতলা পায়খানা হলে শিশুদের শুধুমাত্র হালকা খাবার, যেমন- ডালিয়া,খিচুড়ি,ডাল এবং ভাত দিতে হবে।যা সহজে হজম হওয়ার পাশাপাশি শরীরে শক্তি যোগায়।এর জন্য আপনি একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিতে পারেন।

এমন পরিস্থিতিতে ভাতের জলও শিশুদের জন্য খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়।আপনি সারা দিন ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ১-২ বাটি ভাতের জল দিতে পারেন।

শিশুকে মুরগির স্যুপ এবং মসুর ডালের মতো খাবার খাওয়ানোও উপকারী হতে পারে।এগুলো সহজে হজম হয় এবং তাদের শরীরে পুষ্টি জোগায়। 

বমি ও ডায়রিয়া হলে শিশুকে পাকা কলা খাওয়াতে পারেন।  কলা একটি সুষম খাদ্যের অংশ যা শিশুকে প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার এবং পটাসিয়াম প্রদান করবে।কলা খেলে শিশুর ক্লান্তি ও দুর্বলতা কমে যাবে।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad