রাতে ঘুমের সমস্যা?খেতে পারেন এই জিনিসটি
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১২ জুলাই: কিশমিশ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য একটি আশীর্বাদ হতে পারে।এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন,ফাইবার,ক্যালসিয়াম,প্রোটিন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬ রয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে এটি খেলে আমরা অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। বেশিরভাগ মানুষ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে কিশমিশ খান।কেউ কেউ কিশমিশের জলও পান করেন।এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ নানাভাবে আমাদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।কিশমিশ আমাদের শরীরের জন্য কীভাবে উপকারী এবং কীভাবে এটি খাওয়া উচিৎ আসুন জেনে নেই বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে -
কিশমিশ আয়রন সমৃদ্ধ।এটি আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়ক হতে পারে।তাই যাদের হিমোগ্লোবিন কম তারা কিশমিশ খেতে পারেন।
পেটের জন্য উপকারী -
ডাক্তার বলেছেন কিশমিশ পেটের জন্য খুব ভালো।যাদের বদহজম এবং অ্যাসিডিটির মতো হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।দিনে তিনবার সাধারণত কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
শক্তিশালী হাড়ের জন্য -
কিশমিশেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।অতএব,এটি আপনার হাড়কে শক্তিশালী করতেও উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
ঘুমের সমস্যা -
ঘুম সংক্রান্ত সমস্যায়ও কিশমিশ উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। ডাক্তার বলেছেন,এর জন্য রাতে জিরার গুঁড়ো, কিশমিশ এবং এর জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কিশমিশ খাওয়ার সঠিক উপায় কী?
ডাক্তার বলেছেন,যে কোন সময় কিশমিশ খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে কিশমিশ খাওয়াও উপকারী।এর জন্য আপনাকে ১০ থেকে ২০টি কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং তারপরে পরদিন সকালে কিশমিশ ও জল খেয়ে ফেলতে হবে।পেট সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে চিকিৎসকরা রোগীকে দিনে তিনবার কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন।কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি খাওয়া উচিৎ নয়।কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment