বড় তথ্য, বাংলাদেশে সহিংসতার পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাত
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ আগস্ট : বাংলাদেশে সরকার উৎখাত নিয়ে গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বড় ধরনের তথ্য উঠে এসেছে। এর পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জড়িত বলে জানা গেছে। এবিপি নিউজ সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতির পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাকিস্তান ছাত্রশিবির নামে একটি সংগঠনকে ব্যবহার করেছে সহিংসতা উসকে দিতে। এই ছাত্র শিবির সংগঠন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীর একটি অংশ। একই সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সমর্থন রয়েছে জামায়াতে ইসলামীকে। সম্প্রতি শেখ হাসিনা জামায়াতে ইসলামী, ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছেন বলেও জানা গেছে। এর প্রতিবাদে তারা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে তোলপাড় শুরু করে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের যোগসাজশের প্রমাণও বাংলাদেশের আধিকারিকদের কাছে ছিল। লন্ডনে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে অভিযানের রূপরেখা তৈরি হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। নীলনকশা তৈরির পর বাংলাদেশে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হয়। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরবে তারিক রেহমান ও আইএসআই আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠকের প্রমাণ রয়েছে বলে দাবী করছিলেন বাংলাদেশি আধিকারিকরা। বিক্ষোভে ইন্ধন জোগাতে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্স-এ ৫ শতাধিক পোস্ট করা হয়। এর মধ্যে পাকিস্তানি হ্যান্ডেলও রয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত-ই-ইসলামির ছাত্র সংগঠন পাকিস্তানের কথিত আইএসআই-এর কাছ থেকেও সমর্থন পাচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এই সংগঠনের কাজ ছিল বাংলাদেশে সহিংসতা উসকে দেওয়া এবং ছাত্রদের প্রতিবাদকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তর করা।
একই সময়ে, আমেরিকাও এই সহিংসতার বিষয়ে তদন্তের আওতায় রয়েছে, কারণ আমেরিকা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল। ১৪ জুলাই, মার্কিন দূতাবাস দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়েছিল, যা পরে ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়। এই খবর বিক্ষোভকে আরও সহিংস করে তোলে। একই সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস জামায়াত নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। এই সহিংসতার সাথে আমেরিকার এসব কর্মকাণ্ডও যুক্ত হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment